ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চান : ফজিলাতুন নেসা


প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা চান : ফজিলাতুন নেসা

   

স্টাফ রিপোর্টার : রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নিকট সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। 

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ১২তম কমনওয়েলথ মহিলা বিষয়ক মন্ত্রীদের সম্মেলনের একটি সেশনে বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশ নারী ও শিশু। কমনওয়েলথ নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোসহ তাদের জীবন মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এক মিলিয়নের বেশিও (প্রায় ১১ লাখ) মানুষকে বিপর্যয়ের মুখে রেখে কমনওয়েলথভুক্ত দেশে এসডিজির ৫ নম্বর গোলের প্রকৃত অর্জন সম্ভব হবে না।  

কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩ টি দেশের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রিদের সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন ইন্দিরা বলেন, সংবিধানের আলোকে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১৬-২০২০, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি- ২০১১, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার- ২০১৮, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ২০৩০, ও ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে। 

বাংলাদেশে ২০০৬ সালে ১৮ বছরের নিচে মেয়ে শিশুর বাল্য বিয়ের হার ছিল ৭৪ শতাংশ তা ২০১৭ সালে কমে ৪৭ শতাংশ হয়েছে। ১৫ বছরের নিচে মেয়ে শিশুর বাল্য বিয়ের হার ৩২ শতাংশ থেকে কমে ২০১৭ সালে ১০.৭ শতাংশ নেমে এসেছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৪১ সালে বাল্য বিয়ের হার শূণ্য শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট প্রণয়ন করছে। বর্তমানে ৪৩টি মন্ত্রণালয় এ বাজেট করছে যা মোট বাজেটের ৩১ শতাংশ। সরকার সারাদেশে প্রায় ৭ হাজারটি কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করছে। নারী শিক্ষার বিস্তার ও নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ বিশ্বের বিকাশমান দেশগুলোর একটি। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশে নারী উন্নয়নের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, সরকার যুগোপযোগী বিভিন্ন নীতি, কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশে জেন্ডার বৈষম্য যেমন কমেছে তেমনি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ফলে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বৈশ্বিক সূচক ও মাপকাঠিতে বাংলাদেশ অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।

গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদনের হিসেব ২০০৬ সালে ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১তম, ২০১৮ সালে ১৪৯ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৮তম এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৫ম।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধী দলীয় নেতা নারী ও সংসদীয় উপনেতা নারী যা বিশ্বে অনন্য উদাহরণ। নারী শিক্ষা এবং নারী উদ্যোক্তাদের কর্মকান্ড প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব।


   আরও সংবাদ