ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশের বাজারে ঢুকেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ, পাইকারি ৫৫ টাকা, খুচরা ৬৫ টাকা


প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


দেশের বাজারে ঢুকেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ, পাইকারি ৫৫ টাকা, খুচরা ৬৫ টাকা

   

স্টাফ রিপোর্টার : আজ থেকেই দেশের বাজারে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। যা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর খুচরা বাজারে তা পাওয়া যাচ্ছে ৬৫ টাকায়। 

আজ থেকে মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও বাজারে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন।

এতে করে আর দুই একদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে দাবি করেন তিনি।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শ্যামবাজারে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আড়তদাররা দেশি পেঁয়াজ পাইকারি দরে করছেন ৬৪ থেকে ৬৫। আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ খুচরা বিক্রেতারা কিনছেন ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। 

এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা নতুন পেঁয়াজ তারা বিক্রি করছেন ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায়। তবে খুচরা বাজারগুলোতে এখনো পেঁয়াজের উর্ধ্বমূল্য অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মগবাজার, খিলগাঁও তালতলা বাজার, কারওয়ান বাজারে গতকাল রোববার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। পাড়ার দোকানগুলোতে আবার কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কেউ কেউ ১০০ টাকা কেজিও দরও হাকাচ্ছেন। এই অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের দায়ভার সম্পূর্ণই খুচরা বিক্রেতাদের বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পেঁয়াজ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মাজেদ। 

তিনি বলেন, আমরা পাইকারি দরে দেশি পেঁয়াজ কেউই ৬৫ টাকার বেশি রাখছি না। এক্ষেত্রে খুচরা পর্যায়ে ৮০ টাকার বেশি দাম রাখা একেবারেই অযৌক্তিক। যদি এর বেশি কেউ দাম রাখে তাহলে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। 

রাজধানীর বাংলা মোটরের মুদি দোকানি মুনির আহমেদ বলেন, পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ পৌঁছালেও আমরা এখনো এগুলো পাই নি। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দাম দিয়ে দেশি পেঁয়াজই পাইকারি বিক্রেতাদেও কাছ থেকে কিনছি। তাই ৯০ টাকার কমে বিক্রি করলে আমাদের কোনো লাভই থাকে না। তবে শুনছি কেউ কেউ ১০০ টাকাও দাম আদায় করছে। তারা এটা কেনো করছে আমাদের সে ধারণা নেই।

তবে আজকে-কালকের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হয়ে যাবে দাবি করে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের রাখার। মিয়ানমারের পেঁয়াজও সব জায়গায় পৌঁছে গেছে। 

আজ থেকে আশা করছি মিশরের পেঁয়াজও বাজারে ঢুকে যাবে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ার আর কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখছি না। তবুও যদি কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম না কমায় তাহলে তাকে অবশ্যই সাজার আওতায় নিয়ে আসা হবে।


   আরও সংবাদ