প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
ঢাবি সংবাদদাতা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রদলের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যামল।
ঘটনায় ছাত্রদল নেতাদের ব্যবহৃত একটি বাইক, মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। অন্যদিকে ছাত্রদলের হামলায় এক সাংবাদিকদের মারাত্মক ভাবে আহত হন। এবং তার মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় সনজিতের অনুসারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বরে মাই টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে আসেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক। এসময় ৭-৮ জন নেতাকর্মী নিয়ে সনজিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রদল টিএসসিতে চলে আসলে সনজিতের অনুসারী ৫০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদলের ওপার অতর্কিত হামলা চালায় এবং বেধড়ক মারধর করে।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় ছাত্রলীগের হামলায় ৩ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এরমধ্যে স্টুডেন্ট জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার আনিসুর রহমানের কান ফেটে যায়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ সাংবাদিকদের মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা জিসান আহমেদ। তিনি বলেন, সকালে আমরা মধুর ক্যান্টিনে গেলে ছাত্রলীগের নেতারা আমাদের সেখান বের করে দেয়। সেখান থেকে বের হয়ে হাকিম চত্বরে কাছে আসলে তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে।
ছাত্রদলের আহতরা হলেন, শাহনেওয়াজ,( সাধারন সম্পাদক প্রার্থী) কামরুল(জিয়া হল)শাহিন( সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢা,বি)। খোরশেদ আলম সোহেল তাজ,যুগ্ম আহ্বায়ক,(মুজিব হল) ফিরোজ সুর্যসেন হল। মাসুৃম(এফ এইচ হল)মাহবুব শাহিন(শহীদুল্লাহ হল) ফাহিম,সজল।,
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ছাত্রলীগের ঢাবি সভাপতি সনজিতের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের মোবাইল ও বাইক ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয় হয়। আমরা এর বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সনজিত চন্দ্র দাসকে ফোন দেয়া হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, এমন ঘটনা কাম্য নয়। যা ঘটেছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রক্টরিয়াল টিমকে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য পাঠিয়েছি।