প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : রাজাধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর ৭ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়ির মাকুদুর রহমানের ফ্লাটে কাজ করতো শারমিন আক্তার (১৫) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পর্ণ হয়েছে।
মৃত শারমিনের মা নুরুন নাহর জানান, এক বছর যাবত ঐ বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতো শারমিন। মেয়ে কে দেখতে গত ৫ দিন আগে ঐ বাসায় যায় আমি। তখন মেয়ে তার কাছে কিছু বলেনি, মেয়ে টিকে ভাল দেখে আসলাম। আজ কেন শুনি, সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। কোন কারণ ছাড়া এ ঘটনা ঘটতে পারে না।
মৃতার নিকটতম আত্বীয় সাইফুল ইসলাম জানান, শারমিন আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম জানান, রোববার বিকালে শহিদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে নিয়ে আসি।
তিনি ঐ বাসার লোক জনের বরাদ
দিয়ে আরো জানান, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর ৭ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাড়ির মাকুদুর রহমানের ফ্লাটে কাজ করতো শারমিন। গতকাল সকালে গৃহকর্তা ও গৃহকর্তী উভয়ই শারমিনকে বাসায় রেখে বাহির দিয়ে তালা বন্ধ করে কর্মস্থলে চলে যান। তার দু'জনই স্কুল শিক্ষাকতা করেন।
পরে গৃহকর্তী বিকাল সাড়ে ৩ টায় বাসায় এসে তালা খুলে দেখিতে পায়, শারমিন বেড রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলেছিল। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে শহিদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আজ বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে, চিকিৎসক সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সোহেল মাহমুদ বলেন, মৃতার ভিসারা, ব্লাড, নেকটিসু, ও মৃত্যুর পূর্বে ধর্ষিত হয়েছে কিনা, এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব পরিক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার কাদুতি গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেন মেয়ে শারমিন। দু'ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।