ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

য‌শো‌রে ১০টাকা কে‌জি দ‌রের ১৫০ বস্তা চাল জব্দ


প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


য‌শো‌রে ১০টাকা কে‌জি দ‌রের ১৫০ বস্তা চাল জব্দ

   

য‌শোর থেকে খান সাহেব :  যশোরের বাঘারপাড়া বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের আলাদীপুর বাজারে আমিনুর সদ্দারের ঘর থেকে ১০ টাকা কেজি দরের ১৫০ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ। 

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বাঘাপাড়া বাসুয়াড়ী আলাদীপুর বাজারে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণের পর এ বিপুল পরিমানের চাল জব্দ করেন তিনি।

সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহীর দপ্তর থেকে ৫০০টি কার্ডে ডিলার আমিনুর সদ্দারের মাধ্যমে ১৫ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি বস্তার ওজন ৩০ কেজি। প্রতি কেজি চালের মূল্য ১০টাকা করে। আজ সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এসব চাল স্থানীয় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রতিটি কার্ডে চালের বরাদ্দের পরিমান ৩০ কেজি থাকলেও কয়েকটি দুস্থ পরিবারের চাল মেপে ২৬ ও ২৭ কেজি করে পাওয়া যায়। 

এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ বাসুয়াড়ী আলাদীপুর বাজারে যান। কয়েকজন দুস্থ কার্ডধারীদের চাল মেপে ২৬ কেজি থেকে ২৭ কেজি ২৮ কেজি ও ২৯ কেজি করে চাল পান। এসময়ে তিনি পাশের একটি ঘরে অভিযান চালিয়ে তিনি ১৫০ বস্তা চাল জব্দ করেন। 

বাসুয়াড়ী ওয়ার্ডের মেম্বার জাহিদ সদ্দার স্থানীয় রাজনৈতিক লোকজন নিয়ে হাজির হন এবং ডিলার আমিনুর সদ্দারের পক্ষে ছাপাই গাইতে থাকেন এবং বলেন ফুড গোডাউন থেকে তাদেরকে চাল কম দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য এ ওয়ার্ডের প্রকৃত দুস্থদের ১০ টাকা দরের কার্ড ও ভিজিএফ এর চালের কার্ড না দিয়ে এলাকার ধনীদের ও দলীয় সমর্থকদের চালের কার্ড দেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে।

বাঘারপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে আজ দুপুরে আলাদীপুর বাজারে যাই। সেখানে কয়েকজন সুবিধা ভোগী দুস্থদের বস্তার চাল ওজন করে কোনটায় ২৬ কেজি, কোনটায় ২৭ কেজি আবার কোনটায় ২৮ কেজি করে চাল পায়। বস্তাগুলো‌তে প্রকৃত চাল থাকার কথা ৩০ কেজি করে। 

বিষয়টি নিয়ে ডিলার মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বস্তার ছিদ্র দিয়ে চাল পড়ে গেছে। এতে আমার সন্দেহ হলে আমি পাশের ঘরগুলোতে চাল খুঁজতে থাকি। একটি ঘর থেকে প্রায় ১৫০ বস্তা চাল জব্দ করি এবং উপজেলা ফুড কর্মকর্তাদের জিম্মায় দিয়ে দিই। 

এসময় স্থানীয় জাহিদ মেম্বর দলীয় লোকজন নিয়ে জড়ো হয় এবং ডিলার আমিনুর সদ্দারের পক্ষে ছাপাই গাইতে থাকেন। তবে বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।


   আরও সংবাদ