ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ ভাদ্র ১৪৩১, ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ডেনমার্কে ২৫ মার্চের ভয়াল রাতের স্মৃতিচারণা


প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ডেনমার্কে ২৫ মার্চের ভয়াল রাতের স্মৃতিচারণা

   

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল রাতের স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে গণহত্যা দিবস পালন করেছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে মিল রেখে কোপেনহেগেন সময় বিকেল চারটা থেকে চারটা এক মিনিট পর্যন্ত দূতাবাসের সব আলো নিভিয়ে প্রতীকী ব্ল্যাক আউটের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে ডেনমার্কে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা সপরিবারে উপস্থিত থেকে মুক্ত আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বক্তাদের স্মৃতিচারণায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের লোমহর্ষক বর্ণনার সঙ্গে সঙ্গে দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্তির জন্য সরকারের প্রতি জোরালো দাবি উঠে আসে।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত তাঁর বক্তব্যে গণহত্যা দিবসকে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে মর্মান্তিক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতাযুদ্ধের সব বীর সেনানী বিশেষ করে ২৫ মার্চের কালরাতে শহীদ, সম্ভ্রম হারা মা-বোনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে জাতির অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ২৫ মার্চের গণহত্যা বাঙালি জাতির চূড়ান্ত মুক্তির লড়াইয়ে দ্রোহ ও প্রেরণা জুগিয়ে এসেছে যুগ যুগ ধরে। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত প্রবাসীদের গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গোচরে আনার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষে জাতির পিতাসহ বাংলাদেশের সব আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।


   আরও সংবাদ