ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারের প্রতিপক্ষ জনগণ সমাবেশে ফখরুল


প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


সরকারের প্রতিপক্ষ জনগণ সমাবেশে ফখরুল

   

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিগত নির্বাচনে আমাদের একজন ভোটারও ভোট দিতে পারেনি। অথচ সংবিধানে লেখা আছে জনগণ ক্ষমতার মালিক।  স্বাধীনতার পরেও একই কায়দায় এই সরকার মানুষের ভোট কেড়ে নিয়েছিল। কারণ  তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আর করে না বলেই একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। তাদের দুশাসনের সেদিন দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ জনবিরোধী সরকার। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা দেশের সমস্ত অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এই লুটেরা সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেগম আপনারা যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি চান তাহলে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হন। 

তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকে তিনবার মঞ্চ ভাঙা হয়েছে। তারপরও সিলেটের মানুষের সাহসিকতার ফলে এই জনসভা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আজকে এই সভা করছি। এই সভা সফল করতে গতরাতে ১৭ জনকে বন্দি করা হয়েছে।

কয়েকদিন আগে সিলেটে ছাত্রদল একটি মিছিল করেছিল, সেই মিছিলে হাজার হাজার ছাত্ররা যোগ দিয়েছিল সেজন্য ভয় থেকে গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ সমাবেশ করতে না দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। আসলে তারা জনগণকেই ভয় পায়। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা আগের দিন রাতে ভোট চুরি-ডাকাতি করেছে। বন্দুকের জোরে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। সেই জন্য আমরা এই সরকারকে অবৈধ সরকার বলি। 

তিনি বলেন, এই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একটা গৃহপালিত বিরোধী দল বানিয়েছে। সরকার হা বললে হা বলে না বললে না বলে।

বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয় করণ করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থাকে তারা রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। প্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছে।  তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ন্যায় বিচার পায় না। তাঁকে সাজানো মামলায় প্রহসনের বিচারে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা এই দেশ থেকে লোপট করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এর কোন বিচার নেই। কারা করবে এই বিচার। সরকারের সকল পর্যায়ের লোক দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে জড়িত।

 তিনি বলেন, ক্যাসিনো অভিযানে যেই ধরা পড়ছে তাকেই বলা হচ্ছে বিএনপির লোক। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেছেন, তার নেতাকর্মীরা অপকর্ম করেছেন পুলিশ প্রশাসন কি  ১২ বছর আঙ্গুল চুষছিল।


ইলিয়াস আলী ৬ বছর যাবত নিখোঁজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে শত শত পরিবার স্বজন হারানোর বেদনায় বেদনার্ত। তাদের পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে যখন বসি তখন চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। একজন নয়, দুজন নয় ৫০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। এক লাখের ওপরে মামলায় ২৬ লাখ মানুষকে আসামী করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নের রোল মডেল। এখন ঘরে ঘরে ক্যাসিনোর জোয়ার বইছে। সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াছে। বিদেশী কেউ বিনিয়োগ করছে না। কারণ এটা একটা লুটেরা দেশ। তারা মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুট করছে। ১১ লাখ রোহিঙ্গা ২ বছর হয়ে গেলো একজনকেও ফেরত পাঠাতে পারলো না। তাদের কূটনৈতিক তৎপরতা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।


   আরও সংবাদ