ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থেকে ক্ষোভ


প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থেকে ক্ষোভ

   

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আর এসব অভিযোগ থেকে ইতোমধ্যেই নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সরকারের শুদ্ধি অভিযানে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করেছেন নেতাকর্মীরা।

সনজিত চন্দ্র দাস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক মাসের মাথায় তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতিকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও তার তদন্তের কোনো অগ্রগতি গেলো এক বছরেও হয়নি। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে মুকাভি নেতা মীর লোকমানকেও মারধর করেন তিনি। এছাড়াও আছে নানা অভিযোগ। বিতর্ক থাকায় গেলো ডাকসু নির্বাচনেও মনোনয়ন পাননি তিনি। 

গত সোমবার ক্যাম্পাসে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে তিন সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এর নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি।

সনজিতের হামলার শিকার ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, তদন্ত কমিটির কোন অগ্রগতি নেই। আমি এখনো আমার ওপর হামলার বিচার চাই।

একই বছর আগস্টে প্রটোকল দেয়াকে কেন্দ্র করে সনজিত চন্দ্র দাস ও তার অনুসারীদের দ্বারা লাঞ্চিত হন সংগঠনটির তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। ওই সময়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তবে এসব কোনো ঘটনারই সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। বহাল তবিয়তেই থেকে গেছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসরে ব্যক্তিগত দুইটি নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার মন্তব্য নেওয়ার জন্য জগন্নাথ হলের ৩০১৫ নম্বর রুমে গেলে তার রুম তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।

এবিষয়ে কথা বলতে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‌'আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলি'। পরে তাকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। মেয়াদের শেষের দিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও এখনো দিতে পারেনি হল কমিটি। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এছাড়াও তিনি একটি  'ধর্মীয় গোঁড়াপন্থি' সংগঠন 'ইসকন' এর অন্যতম একজন নেতা বলে জানা গেছে। যে সংগঠনটি 'বিধর্মী' মতবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

উল্লেখ্য যে, গত বছরের ২৯ এপ্রিল হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সম্মেলন। সম্মেলনের প্রায় আড়াই মাস পূর্ণ হওয়ার পরে ৩১ জুলাই ২০১৮ ঢাবি ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক হন সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয় মেয়াদ শেষের মাত্র দু মাস আগে।


   আরও সংবাদ