ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নদীমাতৃক দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ৪৫টি পন্টুন নির্মাণ করছে সরকার : প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


নদীমাতৃক দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ৪৫টি পন্টুন নির্মাণ করছে সরকার : প্রতিমন্ত্রী

   

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সকল নদী বন্দরে যাত্রিসেবা ও মানোন্নয়নে সরকার ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ করছে। বিশ্বের অনেক নামী দমী প্রতিষ্ঠান এখন নৌ সেক্টরে বিনেয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন নদী কেন্দ্রীক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটস্থ আনন্দ শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিএ'র জন্য ৪৫ টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে যেসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। সেসব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি বিকাশের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,  বর্তমান সরকার ব্যবসা বান্ধব সরকার। বর্তমানে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ গতিশীল হয়েছে। ব্যবসা বান্ধব সুযোগ সুবিধায় ২০ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এখন সবাই বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। 

উল্লেখ্য, বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন নদী বন্দরে স্থাপনের জন্য প্রায় ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ৪৫ টি বিশেষ ধরনের টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে এবছরের ২২ আগস্ট আনন্দ শিপইয়ার্ডের সাথে বিআইডব্লিউটিএর চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।  আশা করা যায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে  টার্মিনাল পন্টুনগুলো পাওয়া যাবে। প্রতিটি পন্টুনের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট, প্রস্থ ৩২ ফুট এবং গভিরতা ৭.৫ ফুট।

৪৫টি পন্টুন গুলোর মধ্যে ঢাকা নদী বন্দরের সদরঘাটে ১৫ টি, লারকুঠিঘাটে ৪টি, ওয়াইজঘাটে ৩টি, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে ৪টি, চাঁদপুর নদী বন্দরে ৪টি, ভোলা নদী বন্দরে ৩টি, পটুয়াখালী নদী বন্দরে ৩টি, মীরকাদিম নদী বন্দরে একটি, ফতুল্লা লঞ্চঘাটে দুটি, ঝালকাঠি লঞ্চঘাটে দুটি, হুলারহাট লঞ্চঘাটে একটি, বরগুনা নদী বন্দরে একটি এবং খুলনা নদী বন্দরে দুটি স্থাপন করা হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম বক্তব্য রাখেন, আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহেল বারী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরুজা বারী বক্তব্য রাখেন।


   আরও সংবাদ