ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বান্ধবীকে ঢাবি ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি বানাতে ডাকসু নেতা শয়নের দৌড়ঝাপ


প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বান্ধবীকে ঢাবি ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি বানাতে  ডাকসু নেতা শয়নের দৌড়ঝাপ

   

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) -এ অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়নের বিরুদ্ধে।

কৌশলে তিনি তার বান্ধবী ইসরাত জাহান নুর ইভাকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (ডিইউডিএস) সভাপতি বানানোর পায়তারা করছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া, সংগঠনটিকে নিজের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণে নিতে বেশ কিছুদিন ধরে বিভক্তি ও অস্থিরতা তৈরীর অপতৎপরতা চালানোর অভিযোগও করেছেন সংগঠনটির একাধিক বিতার্কিক। এসব বিষয় নিয়ে সংগঠিতে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা যায়।

ডিইউডিএস’র বর্তমান কার্যকরী কমিটির কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেন, ‘কিছুদিন পর সংগঠনটির নতুন কমিটি দেওয়া হবে। তাই শয়ন সংগঠনটিতে তার আধিপত্য বিস্তার করতে অবৈধভাবে বিভিন্ন পায়তারা করছেন।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিইউডিএসের এক সম্পাদক জানান, ডাকসুতে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ডিইউডিএসে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় নানা ষড়যন্ত্র করছেন শয়ন। গত ছয় মাস ধরে যেকোন মূল্যে তিনি ডিইউডিএস দখল করার জন্য নানান অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ডিবেটিং ক্লাবের কমিটি দেওয়ার সময় অবৈধ হস্তক্ষেপ করে পছন্দের লোকদের বসিয়েছে। ভালো বিতার্কিকদের হুমকি দিয়ে ক্লাব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।

ডিইউডিএসের আরেক নেতা জানান, ‘ডিইউডিএসকে নিয়ে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রেরই অংশ বিশেষ হিসেবে শয়ন অবৈধভাবে ক্ষমতা চর্চা করছেন। তবে ডিইউডিএসের বৃহত্তর স্বার্থে আপাতত এটাকে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই আমরা বলতে চাচ্ছি না। তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আমরা অবশ্যই মুখ খুলবো এবং তখন আপনারা সব জানতে পারবেন।’

জানা যায়, ডিবেটিং ক্লাবের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডাকসুরি এজিএস সাদ্দাম হোসেনের বন্ধু শয়ন প্রভাব খাটিয়ে ইভাকে হল সংসদে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচন করান। কিন্তু ইভা হল সংসদেও হেরে যায়।

বিতার্কিকরা জানান, ডিবেটিং ক্লাব নির্বাচনে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে সাবেক নেতারা নিয়ন্ত্রণ করেন। নির্বাচনের সব হল ক্লাবগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা ভোট দেয়। সে ক্ষেত্রে অধিকাংশই ইভাকে অপছন্দ করে। যার কারণে শয়ন সব হলে কমিটিতে যোগ্যদেরকে হুমকি দিয়ে ক্লাব ছাড়তে বাধ্য করে। যাতে আসন্ন নির্বাচনে ইভাকে সভাপতি করা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসরাত জাহান নুর ইভা ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী। ইভা যখন ঢাবি বিতর্ক সংসদের যোগ দেন, তখন ডিইউডিএসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাজারুল কবির শয়ন। বিতর্কের নামে দুজন প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ডিবেটিং ক্লাবে বিভিন্ন সময় তাদের একাকীত্ব মুহূর্ত কাটানোর অভিযোগও রয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ডাকসু সম্পাদক মাজারুল কবির শয়নের সাথে যোগাযোগের করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এসব অভিযোগ তুলা হচ্ছে বলেও দাবি করেন শয়ন।


   আরও সংবাদ