ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু সুরক্ষার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ : রাষ্ট্রদূত মাসুদ


প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু সুরক্ষার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ : রাষ্ট্রদূত মাসুদ

   

নিউইয়র্ক থেকে রওশনা বেগম : শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু সুরক্ষার পদক্ষেপসমূহ এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একযোগে কাজ করতে বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা জাতিসংঘে পূনর্ব্যক্ত করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি ৭৪তম অধিবেশনের ৩য় কমিটির আওতায় ‘শিশু অধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষা’ বিষয়ক এক উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, “শিশু অধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদের ৩০ বছর পূর্তি অতি সন্নিকটে। আমাদের উচিত উপলক্ষটির পূর্ণ ব্যবহার করা। তাই শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, আসুন শিশু অধিকার সমুন্নত রাখতে আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির 
বাস্তবায়নে কাজ করি”।

বাংলাদেশ অতিসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টিকাদানে সফলতার জন্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন কর্তক ‘ভ্যাকসিনেশন হিরো’ অ্যাওয়ার্ড এবং যুবদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ইউনিসেফ কর্তক ‘চ্যাম্পিয়ন ফর স্কীল ডেভোলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা করা হয়েছে। এ জাতীয় আন্তর্জাতিক পুরষ্কার শিশু ও যুব উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় যা বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রারই স্বীকৃতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গৃহীত ও বাস্তবায়িত জাতীয় শিশু উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচির বিভিন্ন উদাহরণ টেনে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় 
শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে যা শিশুদের প্রতি সরকারের বিশেষ গুরুত্ব প্রদানেরই বহি:প্রকাশ।

বাংলাদেশে শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু সুরক্ষা বিশেষ করে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাস্তবায়িত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির নানাদিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও অন্যান্য কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শিশুসহ সকল রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে স্ব-প্রণোদিতভাবে নিরাপদে ও নিরাপত্তার সাথে টেকসই পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সুদৃঢ় ভূমিকা রাখতে হবে।


   আরও সংবাদ