ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতিসংঘে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহার নিয়ে নতুন রেজুলেশন পেশ করল বাংলাদেশ


প্রকাশ: ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জাতিসংঘে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহার নিয়ে নতুন রেজুলেশন পেশ করল বাংলাদেশ

   

নিউইয়র্ক থেকে রওশনা বেগম : আজ ‘প্রাকৃতিক তন্তু যেমন পাট ও সিসাল এর ব্যবহার’ বিষয়ক একটি নতুন রেজুলেশন ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২য় কমিটিতে বিবেচনার জন্য পেশ করল বাংলাদেশ। 

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের পক্ষে ২য় কমিটির প্লেনারি সভায় ‘কৃষি উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি’ বিষয়ক এজেন্ডার (এজেন্ডা-২৪) আওতায় এই প্রস্তাব পেশ করেন।

প্রদত্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাসুদ পরিবেশ বান্ধব প্রাকৃতিক তন্তু যেমন পাট, তুলা ও সিসাল এর ব্যবহার বিষয়ে সদস্য দেশসমূহকে উৎসাহিত করে বলেন, “কৃত্রিম তন্তুর বিপরীতে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের সুবিধার ক্ষেত্রে এখনও যথেষ্ট জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়নি”। 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সাধারণ পরিষদে একটি রেজুলেশন গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ ‘প্রাকৃতিক তন্তু যেমন পাট ও সিসাল এর ব্যবহার’ বিষয়ক খসড়া রেজুলেশনটি উত্থাপন করল।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের বৈশ্বিক সচেতনতা সৃষ্টিতে রেজুলেশনটি হতে পারে একটি কার্যকর দলিল যা শুধু উৎপাদনকারী বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের জন্যই নয়, ভোক্তাদের জন্যও এনে দিবে প্রকৃতিকে বাঁচানোর একটি উত্তম সুযোগ। 

এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই রেজুলেশন টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং পরিবেশ সুরক্ষার আবশ্যিকতাকে এগিয়ে নিতে সদস্য দেশসমূহকে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সাহসী ও বাস্তবভিত্তিক নীতি-কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে কৃষিখাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে, গ্রামীণ উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ক্ষমতায়িত হয়েছে, আর ক্ষুদ্র কৃষিজীবি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণ স্থানীয় ভিত্তিতে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনার ফলে সুরক্ষিত রয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ শাক-সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ এবং মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ এক সময়ের খাদ্য আমদানিকারক দেশ থেকে আজ খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে এবং পরিবেশ-বান্ধব কৃষি পন্য উৎপাদন ও তা জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ আনীত নতুন এই রেজুলেশনটিকে সমর্থন করতে স্থায়ী প্রতিনিধি সকল সদস্যদেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান তিনি এবং আশা প্রকাশ করেন এটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হবে। 

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অতি শীঘ্রই রেজুশেলনটির নেগোশিয়েশন শুরু হতে যাচ্ছে।


   আরও সংবাদ