প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
কোটালীপাড়া গোপালগঞ্জ থেকে জাকারিয়া শেখ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পরিক্ষার হলে ঢুকে ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ। এ সময় পরিক্ষার হল ত্যাগ করে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষকদের মধ্যস্থায় শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকে পরিক্ষা দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বুধবার কোটালীপাড়ার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসাটির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, ইয়াসিন শেখ জানায়, গত বুধবার তাদের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে অধ্যক্ষ বাকের হোসাইন কাঁওচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটির অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থায় শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, বাংলা পরীক্ষার ২ ঘন্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদেরকে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এর পরে আমরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করি।
মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ বাকের হোসেনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, আমি দাখিল শ্রেণির সকল ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দিবোনা এ কথা বলিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
