ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুকের উপস্থিতিতে জনতার বিক্ষোভ প্রত্যাহার


প্রকাশ: ২২ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুকের উপস্থিতিতে জনতার বিক্ষোভ প্রত্যাহার

   

গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা : ভোলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক হযরত মুহাম্মদ (স) কে ব্যাঙ্গ করে ফেইসবুক এর মেসেঞ্জার এর কথোপকথনের জের ধরে মুসলিম তৌহিদী জনতা প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে তৌহিদী জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন মুসল্লি নিহত হন। নিহত চারজনকে নিজেদের কর্মী–সমর্থক বলে দাবি করেছে তৌহিদী জনতা। এই সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

নিহত চারজন হলেন বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫), বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর ছেলে মাহবুব পাটওয়ারী (১৪), মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৪০) ও বোরহানউদ্দিনের শাহিন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে, ৪০ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে এবং পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের আত্মরক্ষাতে নির্মম হামলা ও হিন্দু যুবকের ব্যাঙ্গত্বক উক্তির বিরুদ্ধে দেশের বিজ্ঞ আলেম সমাজের আহবানে ইসলাম প্রিয় তৌহিদি জনতার ব্যানারে গত কাল সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট উপজেলার আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতা গতকাল বাদ জোহর উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা বলে। বেলা এক টায় কয়েকশত মুসল্লি গোয়াইনঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়।

এসময় উপজেলা চত্তরে ইসলাম জনতার মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ এবং উত্তেজনা করছে। যে কোন মুহুর্তে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে সদা প্রস্তুত। যে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য তাৎক্ষণিক মসজিদে ছুটে যান গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের জনন্দিত চেয়ারম্যান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ। 

তিনি ইসলাম প্রিয় তৌহিদি জনতার সাথে একাত্বতা পোষণ করে নবীকে নিয়ে হিন্দু যুবক কর্তৃক ব্যাঙ্গ করে কটুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন এবং সরকারের কাছে অপরাধীর শাস্তি দাবী করেন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের আত্বার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের সুস্ততা কামনা করেন। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ইসলামিক কার্যকালাপের কথা তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত ধার্মিক এবং আল্লাহ ভীরু। আমার জীবনে অনেকবার উনার সফরসঙ্গী ছিলাম। আমি নিজে দেখেছি উনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এমনকি তাহাজ্জুদের নামাজ ও মিস করেন না। 

তিনি আরও বলেন, ইসলাম বিদ্ধেষীদের বিরোদ্ধে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। ভোলার ঘটনা নিয়ে কোন ধরণের বিশৃঙ্খল পরিবেশ ও উত্তেজনা না করার জন্য তৌহিদি জনতাকে অনুরোধ করেন। এতে তার চমৎকার উপস্থাপনা, তথ্য নির্ভর বক্তৃতা, মাধুর্যপূর্ণ কথার কারণে তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিল থেকে সরে আসে। মসজিদে নামাজ পড়ে, দেশের শান্তি ও কল্যাণ এবং নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবাই নিজ নিজ কর্মে চলে যায়।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ফেইসবুক জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজনা এড়াতে উপজেলা চেয়ারম্যান'র বক্তিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্রণের জন্য অনেকেই প্রশংসায় করেছেন। 

মেসেঞ্জার ও কমেন্টে উপজেলা চেয়ারম্যান কে ধন্যবাদ এবং শুভকামনায় জানিয়েছেন অনেকেই। আবার ইসলাম প্রিয় আলেম উলেমা ও তৌহিদি জনতার ব্যনারে বিক্ষোভ না করায় অনেকেই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।অনেকে আবার ব্যঙ্গ করে বলেছেন জিলাপি খাইয়া মিছিল শেষ।


   আরও সংবাদ