ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্যানসারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে অসহায় পিতার আকুতি!


প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ক্যানসারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে অসহায় পিতার আকুতি!

   

মণিরামপুর (যশোর থেকে আব্বাস উদ্দিন :  মণিরামপুরে ক্যানসার আক্রান্ত গুরুত্বর অসুস্থ্য সন্তানের জীবন বাঁচাতে আব্দুস সালাম নামের এক অসহায় পিতা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি উপজেলার জালঝাড়া ফাজিল মাদরাসার এবতেদায়ী (প্রাথমিক) শাখার শিক্ষক। 

শিক্ষকতা করে যে বেতন পান তা’দিয়ে ৬/৭ জনের সংসার কোন রকমে চলে আসছিল তার। হঠাৎ ছেলে মুতাসিম বিল্লাহ’র শরীরে ধরা পড়েছে দুরারোগ্য ক্যানসার ও হিপ জয়েন্ট ড্যামেজ রোগ। যার চিকিৎসা অত্যান্ত ব্যয়বহুল। অভাব-অনটনের সংসারে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে এমনিতেই হিমসিম খেতে হয় তাকে। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হিপ জয়েন্ট ট্রান্সপ্লান্ট ও ক্যানসার চিকিৎসায় ৮/৯ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। অসহায় পিতার এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। এ পর্যন্ত ছেলের চিকিৎসায় সব খুঁইয়েছেন তিনি। উপরোন্ত ধার-দেনা করে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে এখন পড়েছেন বিপাকে। শিক্ষকতা করে যে বেতন পান তাও এখন লোনের কিস্তি পরিশোধে কেটে নেয়া হয়। তবুও হাল ছাড়েননি বুকের ধন সন্তানকে বাঁচাতে। এ জন্যে সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন তিনি

ক্যানসারে আক্রান্ত মুতাসিম বিল্লাহ’র পিতা আব্দুস সালাম বলেন,  আমার স্ত্রী ব্রেইন স্ট্রোকে প্যারালাইজড হয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে বিছানায় পড়ে আছে। চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে মুতাসিম বিল্লাহ দ্বিতীয়। সে ২০১১ সালে জালঝাড়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে আলীম পাশ করে। অর্থাভাবে তাকে আর পড়াতে পারিনি। তাই সংসারের অভাব-অনটন দুর করতে মুতাসিমকে ২০১১ সালের জুলাই মাসে শেষ সম্বল একখন্ড জমি বিক্রি সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠাই।

সেখানে থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালের প্রথম দিকে অসুস্থ্য পড়ে সে। এরপর সেখানে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে তার অন্ডকোষে ক্যানসার ধরা পড়ে। ফলে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরতে হয় মুতাসিমকে। 

তিনি জানান, একদিকে স্ত্রী প্যারালাইজড হয়ে শয্যাসায়ী, আমার এক বোন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তার ওপর ছেলের ক্যানসার। এদের চিকিৎসায় সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন নিঃস্ব। দেশে আসলে কর্মস্থলে শিক্ষক সমিতির ফান্ড থেকে লোন নিয়ে ছেলে মুতাসিম প্রথমে যশোর দড়াটানা হাসপাতালে ডাঃ শরিফুল ইসলাম রঞ্জু তার অন্ডকোষে অপারেশন করালে পরীক্ষায় ক্যানসার ধরা পড়ে। 

এরপর তাকে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডাঃ এসএম নাজমুল হাসানের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি মুতাসিনের শরীরে পরপর ৬টি কেমোথেরাপী দেন। এদিকে কেমেথেরাপী দেয়ার দুই মাস পর থেকে সে ডান পাশের হিপ জয়েন্টে ব্যাথার কারনে চলাচল করতে পারে না।

তাকে এবার নেয়া হয় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন প্রফেসর ডাঃ রফিকুল ইসলামের কাছে। পরীক্ষার পর তিনি জানান, মুতাসিমের ডান হিপ জয়েন্ট শুকিয়ে ড্যামেজ হয়ে গেছে। এটা দ্রুত অপারেশন করতে হবে। একদিকে ক্যানসার অন্যদিকে হিপ জয়েন্ট অপারেশন সব মিলিয়ে ৮-৯ লক্ষ টাকার দরকার। তাই বুকের ধন প্রিয় সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের দানশীল ও বিত্তবানদের কাছে আসহায় পিতা আব্দুস সালাম সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠাতে বিকাশ নং-০১৯০৮১০২৪৪৩ অথবা আব্দুস সালাম, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২৩২১৮০১০২৭০১৯, সোনালী ব্যাংক, মণিরামপুর শাখা।  


   আরও সংবাদ