প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : ৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চৌগাছা-যশোর সড়কের সংস্কার কাজে বালি ও পাথরের অনুপাতে বালির পরিমান বেশি ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করছে এলাকাবাসি।
জানা যায়, চৌগাছা থেকে যশোর শহরের দুরত্ব ২৫ কিলােমটিার। এর মধ্যে ১৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণের জন্য ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ১১ হাজার ৪ শত ৪৩ টাকা বরাদ্দ করা হয়। টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে কাজ পান এম ময়নুদ্দিন বাশি মালকিানাধীন এম.এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। ওয়ার্ক ওর্ডার পাওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। সংস্কার কাজের শেষ পর্যায়ে এসে ম্যাকডমের কাজ করার সময়ে বালু-পাথর অনুপাতে বালু দেয়া হয়েছে অধিক পরিমানে।
গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি শুরু হলে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন পাথর ও বালুর অনুপাত ঠিক না থাকায় এবং বেশি পরিমানে ব্যবহার করায় সামন্য বৃষ্টির পানিতে সড়কটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ছে। যার ফলে সড়কে বিভিন্ন স্থানে বালুর স্তুপ জমে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন চালকরা।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার সড়কটিতে একারণে সকল প্রকার ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। যানচলাচলে বিঘ্নের ঘটনা জানতে পেরে অতিরিক্ত বালু ব্যবহারের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তার উপর স্তুপ হয়ে থাকা বালু ট্রাকে করে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
সিংহঝুলী গ্রামের লিটন মল্লিকসহ সড়কে মটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, গত দু’দিনের বৃষ্টির পর বালুর কারণে মটরসাইকেল চালানো যাচ্ছে না। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল থেকে নেমে গ্রামের মেঠোপথের মত হেটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কে চলাচলকারী যশোর-চৌগাছা রুটের কয়েকজন বাস চালক বলেন গত দু’দিনের বৃষ্টিতে সড়কে বাস চালাতে দ্বিগুন জ্বালানী ব্যয় হচ্ছে। কোন সময়ই বাস টপগিয়ারে চালানো যাচ্ছে না।
এদিকে পানিতে রাস্তায় কাঁদা হয়ে গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি রাস্তার উপর থেকে বালু ট্রাকে করে সরিয়ে নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা।
সাইট সাইনবোর্ডে প্রতিষ্ঠানের বা সাইট ইঞ্জিনিয়ারের কোন নাম্বার না দেয়া থাকায় এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মোয়াজ্জেম হোসেনের মোবাইলে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।