ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বল্প সময়ের নোটিশে দোকানঘর ভেঙে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ


প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


স্বল্প সময়ের নোটিশে দোকানঘর ভেঙে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ

   

মণিরামপুর যশোর থেকে আব্বাস উদ্দীন :  মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ৪৬টি দোকান-পাট ও বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে বুলডুজার দিয়ে এসব স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করা হয়। পূর্ববর্তী স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছ থেকে ইজারা নিয়ে এসব স্থাপনা নির্মাণ করায় উচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইন অমান্যের অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। 

অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিয়ম মেনেই স্কুলের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।  

বর্তমান স্কুলটির পরিচালনা কমিটির দাবি, বিগত কমিটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে স্কুলের খেলার মাঠে এসব অবৈধ দোকান-পাট গড়ে তুলেছেন। স্কুলের নামে ইজারার টাকা আদায় করে ফান্ডে জমা না দিয়ে তা আত্নসাৎ করেছেন। বর্তমান কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর পূর্ববর্তী কমিটির এসব অনিয়মগুলো ধরা পড়ে এবং বর্তমান কমিটি এসব অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

সে অনুযায়ী চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের দোকান-পাটগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১০ দিনের সময় বেধে দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে সে গুলো সরিয়ে না নেওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

স্কুল কমিটি বলছেন, ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলামসহ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিগত কমিটি মোটা অংকের টাকা নিয়ে নাম মাত্র সামান্য হারে টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দিয়ে বাকী সিংহভাগ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। মোটা অংকের টাকা দিয়েই দোকান-পাট স্থাপন করেছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী এ ধরনের দাবি করলেও এর প্রকৃত হিসাব স্কুলে নেই। এসব অনিয়মের হিসেব দিতে না পারায় কয়েকমাস আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলমকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

উচ্ছেদের শিকার বেকারীর মালিক ইদ্রিস আলীর দাবী, মাসে এক হাজার টাকা ভাড়ায় ২৫ বছরের চুক্তিতে ১৪-১৫ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনি স্কুল মাঠে তিনি বেকারি নির্মান করেছেন। এখনও ১৬ বছর চুক্তির মেয়াদ রয়েছে। তারপরও স্কুল কর্তৃপক্ষ বেকারি সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এই ব্যাপারে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়ে কমিটির কাছে জবাব চেয়েছেন। সেই আদেশ অমান্য করেই জোর করে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। 

এ বিষয়ে রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের টাকা দিয়ে মাঠ দখলে নিলেও পূর্বের কমিটি নামমাত্র টাকা ফান্ডে জমা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যে সব স্থাপনা লিজ/ইজারা দিয়ে স্কুলের কোন লাভ হয়নি সেই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

এই উচ্ছেদ অভিযানের আগে সবাইকে চিঠি দিয়ে স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা মানেনি। 

আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সভাপতি বলেন, চারটি স্থাপনার ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি। আদালতের আদেশ পেলে সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি জানান।


   আরও সংবাদ