ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগামী সপ্তাহে কার্যকর সড়ক আইন, মামলার সুবিধা নিলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার


প্রকাশ: ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


আগামী সপ্তাহে কার্যকর সড়ক আইন, মামলার সুবিধা নিলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

   

স্টাফ রিপোর্টার : পহেলা নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর অধিনে আগামী সপ্তাহ থেকে মামলা দেয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। তবে সার্জেন্টরা যদি লাভোবান হওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ সংক্রান্তে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মামলা প্রদানের জন্য এখনো পজ মেশিনের সফটওয়ার প্রস্তুত না হওয়ায় আপাতত স্লীপের মাধ্যমেই মামলা দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, সার্জেন্টরা যাতে দ্রুত মামলাটি বুঝতে পারে সেজন্য ৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদের জন্য বই সরবরাহ করা হয়েছে। আইনটি সম্পর্কে যাতে তারা দ্রতু জানতে পারে। বলেন, একমাস পর তাদের একটি পরীক্ষাও নেয়া হবে এই আইনের ওপরে।  সেখানেই বোঝা যাবে সার্জেন্টরা কতটা আয়ত্ব করতে পেরেছে আইনটি।

কমিশনার বলেন, এই আইনে সাজার পরিমান বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করা যায় এখন সাজার ভয়ে হলেও আইন মানবে মানুষ। যাত্রীদের বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটিও স্কুলের মাধ্যমে। বাসের হেলপারদের লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া, তাদের জন্য নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই আইনে।

এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী এক সপ্তাহ আমরা শুধু জনগণ ও বাস মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবো। ইতমধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোরে মাইকের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে। বিভিন্ন মোড়ে গাড়ির গাড়িতে লিফলেট দেয়া হচ্ছে। যাতে দ্রুততর সময়ে নগরবাসী ও বাস চালক শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে। 

শফিকুল বলেন, আইনের অনেক গুলো উল্লেখযোগ্য বিষয় আছে, এরমধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় ড্রাইভারদের লাইসেন্সের পয়েন্ট কাটার ব্যবস্থা। এটি কার্যকর হলে আর কোনো ভাবেই আইন অমান্যকারী ড্রাইভার লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবে না। এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, এটি কার্যকর করা যাবে। আমাদের হাতে যখন পজ মেশিন গুলো চলে আসবে তখনই এটি করা সম্ভব হবে। পজ মেশিনেই দেখা যাবে কোন গাড়ি চালকের লাইসেন্সের কতটা পয়েন্ট আছে। 
দুর্ঘটনার মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা বড় ধরনের হলে পুলিশ এই বিষয়ে মামলা করবে। সার্জেটনরা নয়। বলেন, মৃত্যু হলে হত্যা মামলা করার বিধান রয়েছে। তবে এই মামলাগুলো অবশ্যই করবে থানা পুলিশ। অটোমেটিক সিসটেমে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মামলার জটিলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, কিছুটা জটিলতা রয়েছে। যা আমরা দ্রুতই সমাধানের চেষ্টা করছি। বিআরটিএ অথরিটি যদি আমাদের সঠিক ভাবে তথ্য সরবরাহ করে তবে এটি করা খুবই সহজ।
প্রথম বার কেউ অমান্য করলে অল্প পরিমান জরিমানা করা হবে। মামলা করার সাথে সাথে তাকে লিফলেট দেয়া হবে। পরের বার কোনো ভাবেই তাকে আর ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। 
সার্জেন্টদের অনৈতিক কোনো সুযোগ নেয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাজেন্টরা যদি এই আইনে কোনো ভাবে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বলেন, প্রত্যেক সার্জেন্টের গায়ে ক্যামেরার ব্যাবস্থা করা হবে। যাতে কোনো ভাবেই এমন কাজ করতে না পারে। আর যদি করেও তা ক্যামেরায় ধারনা থাকবে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ সময়ের ফুটেজ দেখলেই পাওয়া যাবে। আর যদি ফুটেজ না থাকে তাহলে তাকে আরো ভালো ভাবে ধরা যাবে।
বলেন, পথচারিদের জন্য ২০০ থেকে ১০০০০টাকা জরিপানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব স্থানে জেব্র ক্রোসিং নাই সেখানে পুলিশ সাহায্য করবে। আর যেখানে ফুট ওভারব্রিজ আছে সেখানে অবশ্যই আইন মানতে হবে।
সদ্য পাশ হওয়া সড়ক পরিবহণ আইন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএমপি। এতে উপস্থিত ছিলেন  ঢাকা মহানগর পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।


   আরও সংবাদ