ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মৃত্যুর পরেও অনুষ্ঠান চলছে, গাফিলতি কার : তথ্যমন্ত্রী


প্রকাশ: ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মৃত্যুর পরেও অনুষ্ঠান চলছে, গাফিলতি কার : তথ্যমন্ত্রী

   

স্টাফ রিপোর্টার : রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিষয়টি তদন্ত হবে, এতে কাদের গাফিলতি ছিল, কিভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। এবং কেন একজন ছাত্র মৃত্যুবরণ করার পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া হলো, সেই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।’ 

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রিপরিষদের মিটিংয়ে ‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠানে কিশোর ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত নিহত হবার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছন তথ্যমন্ত্রী। 

আজ মন্ত্রিপরিষদে ‘কিশোর আলো’র অনুষ্ঠানে কিশোর ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাত নিহত হবার ঘটনা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে কিশোর আলো পত্রিকার অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন ছাত্রের অসহায়ভাবে মৃত্যুর ঘটনা মন্ত্রিপরিষদে অনির্ধারিত আলোচনায় কয়েকজন উপস্থাপন করলে সবাই এ বিষয়ে উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো হলো- স্কুলে যখন কিশোরদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়। তখন সেখানে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল কি না। কারণ, রেসিডেন্সিয়াল মডেলের ছাত্র আবরার অনুষ্ঠানের জন্য টানানো বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এখানে কি গাফিলতি ছিল, সেটি একটি বিষয়। দ্বিতীয়ত: একজন ছাত্র মারা গেছে তবুও অনুষ্ঠানটা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট রাহাতকে কাছের হাসপাতালে না নিয়ে দুরবর্তী হাসপাতালে নেয়া হলো কেন? চতূর্থত: সেই ছাত্র মারা যাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপকে জানানো হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে হাসপাতাল থেকে। হাসপাতালে যখন তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তার পকেটে যখন রেসিডেন্সিয়াল মডেলের মনোগ্রাম দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্কুল বা কলেজের সাথে যোগাযোগ করে। 

আর আপনারা জানেন, কারো যদি এভাবে অপমৃত্যু হয়। তাহলে সেই লাশের অবশ্যই পোস্টমর্টেম করতে হয়। পোস্টমর্টেম না হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত অনুমোদন লাগে। সেটি না নিয়ে পোস্টমর্টেম ছাড়াই লাশটি দাফন করা হয়েছিল। এই বিষয়গুলো সেখানে আলোচনা হয়েছে।’

রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় না যে রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফেরত যাক। তারা সেটি চায় না। কারণ রোহিঙ্গারা থাকলে তাদের সুবিধা হয়। তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে রাজনীতি করতে পারে।’ 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভাসানচরে অত্যন্ত সুন্দরভাবে তাদের (রোহিঙ্গাদের) বাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছে। এবং সমস্ত ‘সেফটি মেজার’ নিয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নৌ-বাহিনীর সহায়তায় সেখানে এই কাজগুলো করা হয়েছে।

এসময় ঢাকার সাবেক মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছালে, মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করছি। তিনি ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বিধায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে আনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছিল। ইতোমধ্যেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তার শোকসন্তপ্ত পরিবার যেন এই শোক সইতে পারে।’


   আরও সংবাদ