ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

১১ হাজার অবৈধ বিদেশিকে সরকারি অর্থে ফেরত পাঠানো হবে


প্রকাশ: ৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


১১ হাজার অবৈধ বিদেশিকে সরকারি অর্থে ফেরত পাঠানো হবে

   

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে অবস্থানরত ১১ হাজার অবৈধ বিদেশি নাগরিককে সরকারি অর্থে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বিদেশি নাগরিক তারা এ দেশের পাসপোর্ট নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে অনেকেই যান না, থেকে যান। তারা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় আছেন। আমাদের গত সভায় সিদ্ধান্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করা। অত্যন্ত সফলতার সাথে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা তাদেরকে চিহ্নিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে, ওরা যে ফেরত যাবে তাদের কাছে টাকাও নেই। ওদের আমরা কী করব? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারের কাছে অনুরোধ করব কিছু টাকা বরাদ্দ দেয়ার জন্য। যাতে ওই সমস্ত অবৈধভাবে বসবাসকারী লোকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে তাদের জেলে দেওয়া যাবে। কিন্তু তারা যে টাইপের লোক ওদের সম্বন্ধে জানেন। তারা জেলখানায় গিয়েও একটা ঝালেমা সৃষ্টি করবে। তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে অবৈধ বিদেশি আছে ১১ হাজারের মত।

তাদের দেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা বিভিন্ন দেশের, বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোরই বেশি; নাইজেরিয়া, তানজেনিয়া- এই সমস্ত দেশেরই নাগরিক।

মূলত ক্রিমিনাল টাইপের লোকই থেকে যায় জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘ভালো নাগরিকরা তো থাকে না। আমরা চিন্তা করেছি সরকারের পয়সা দিয়েই তাদের দেশে ফেরত পাঠাব।

এ বিষয়ে পাশে বসা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যারা অবৈধভাবে এখানে অবস্থান করছেন, এরা ভিসা নিয়ে ঠিকই ঢুকেছিলেন। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কিংবা তারা অবৈধভাবে রয়েছে, কিংবা কোনো ক্রাইমে জড়িত হয়েছেন। তারাই আমাদের জেলখানায় রয়েছেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, জেলখানায় তাদের মেয়াদ শেষ হলেও দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করার পরও নিয়ে যাচ্ছে না। এই রকম সংখ্যা রয়েছে। যারা অবৈধভাবে আছে তারা ক্রাইমের সঙ্গেও জড়িত হচ্ছে। এই সংখ্যা শুধু যে ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত ও তারা কারাগারে রয়েছে তা নয়। যারা ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসে তারা হয়তো তাদের অজান্তেই তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এমন সংখ্যাও আছে। এই সব সংখ্যা মিলে ১১ হাজার। তবে এর সঠিক সংখ্যা কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ করবো।

উত্তর কোরিয়ার কোনো নাগরিক আছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আপনারা জানতে চাইলে পরবর্তীকালে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ