ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

ঘুষের টাকায় ৫ তলা বাড়িসহ শত বিঘা জমির মালিক সুব্রত


প্রকাশ: ৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ঘুষের টাকায় ৫ তলা বাড়িসহ শত বিঘা জমির মালিক সুব্রত

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া সদরের সাব-রেজিষ্টার সুব্রত কুমার সিংহ ঘুষের টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর হাতে আটকের খবরে তার নিজ উপজেলা মণিরামপুরে তোল-পাড় শুরু হয়েছে। দুর্নীতি করে  মণিরামপুর পৌর এলাকায় ৫ তলা আলিশান বাড়ী নির্মাণ এবং শশুরবাড়ি ফরিদপুরে ও নিজ এলাকায় প্রায় শতবিঘা জমি নামে বে-নামে ক্রয়সহ চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে।

মণিরামপুর পৌর এলাকার ভগবান পাড়ায় জমি কিনে অল্পদিনের ব্যবধানে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ৫ তলা আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন সাব-রেজিষ্টিার কর্মকর্তা সুব্রত সিংহ। বাড়ীর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। 

ওই আলিশান বাড়ি নির্মাণে দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন তার ভাই বাদল কুমার সিংহ। পিতা দুর্গাপদ সিংহ ছিলেন উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান। তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিছুদিন আগে পরলোক গমণ করেন। 

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সাব-রেজিষ্টার সুব্রত সিংহের পিতা দুর্গাপদ সিংহ নিজের পৈত্রিক জমি হিসেবে ৪/৫ বিঘার মত রেখে গেছেন। সুব্রত সিংহ চাকুরীতে প্রবেশ করে একের পর এক জমি ক্রয়ের পাশা-পাশি বছর তিনেক আগে নিজ এলাকায় তরিকুল ইসলাম, দাউদ হোসেন, শামছুদ্দীন ও ছমিরসহ একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছেন বলে স্থানীয় অনেকে জানান। 

একাধিক সূত্র জানায়, সুব্রত সিংহ শশুর বাড়ী ফরিদপুর এলাকায় তার শ্বাশুড়ীর নামে প্রায় ১৫ বিঘা জমি কিনেছেন। 

এছাড়া তিনি বিভিন্ন এলাকায় নামে বে-নামে অঢেল সম্পত্তি গড়েছেন বলে সূত্রটি জানায়। অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে তার অঢেল অর্থ রয়েছে বলে স্থানীয়দের মাঝে প্রচার রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ উপায়ে অর্থ দিয়ে নির্মাণ করা আলিশান বাড়ি এবং সম্পত্তির ব্যাপারে কেউ যেন মুখ খুলতে না পারে তার জন্য নিজ এলাকাসহ পৌর শহরে কিছু লোকজনকে ম্যানেজ করে সর্বক্ষণ প্রস্তুত রাখতেন তিনি। 

তবে মৃত্যুর আগে পিতা দুর্গাপদ সিংহ আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যান থাকলেও তার বিরুদ্ধে জোরালো কোন অভিযোগ করেননি স্থানীয়রা। 

এলাকাবাসীর দাবী আটক সাব-রেজিষ্টার সুব্রত সিংহের অঢেল অর্থ-সম্পত্তি এবং আলিশান বাড়ী নির্মাণের ব্যাপারে যদি দুদক কর্মকর্তারা মণিরামপুরে এসে তদন্ত করেন তাহলে এর সত্যতা পাওয়ার পাশা-পাশি তার ভাই বাদল সিংহসহ আরও অনেকের মুখোশ খুলে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে বাদল সিংহের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 


   আরও সংবাদ