ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

মণিরামপুরে পাগলা কুকুরের আতঙ্ক, একদিনে আহত ১০


প্রকাশ: ৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মণিরামপুরে পাগলা কুকুরের আতঙ্ক, একদিনে আহত ১০

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মণিরামপুরে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে একদিনে ৫ জন আহত হয়েছে।শুক্রবার ভোর ৬ থেকে ৭টার মধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার মহাদেবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এদিন সকাল ১০টার মধ্যে এ ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলার সর্বত্র কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করে। আহতরা মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, আজ সকালে কালো রঙের একটি কুকুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রুমা পারভীন (৩০) সকাল ৬টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে গোয়াল ঘরের দিকে যাচ্ছিল, হঠাৎ কুকুরটি পিছন থেকে ছুটে এসে তার উপর হামলা করে পায়ে কামড় দেয়। 

সে চিৎকার দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে- রুমার বাম চোয়াল থেকে একখন্ড মাংস তুলে নেয়। এর ৫ মিনিট পর একই এলাকার মালেক পাটোয়ারীর স্ত্রী ডায়াবেটিস রোগী শহরবানু (৪৫) রাস্তায় হাটাহাটি করার সময় তিনিও ওই কুকুরটির আক্রমনের শিকার হন। 

এ সময়ে শহরবানুর  হাত ও পায়ের কয়েকটি স্থানে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। তার সাহায্যে লোকজন এগিয়ে গেলে কুকুরটি তাদের দিকেও আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে কয়েকজন লাঠি নিয়ে কুকুরটিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। 

পরবর্তীতে কুকুর পৌর এলাকার মহাদেবপুর গ্রামে ফারুক হোসেনের কন্যা জান্নাতী (০৭) ও একই এলাকার ঋষিপাড়ার অরবিন্দু দাসের স্ত্রী শেফালী দাস (৩৫)কে আক্রমণ করে আহত করে। এভাবে পৌর এলাকাসহ এর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে অন্তত ১০ জন এই পাগলা কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। 

আহত শহরবানুর ছেলে ইয়াকুব আলী জানান, তার মাকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে পার্শ্ববর্তী কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।

কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন বেশ কয়েকমাস যাবত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শুভ্রা রানী দেব নাথ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পৌরসভায় কুকুরে কামড়ানো ভ্যাকসিন (প্রতিশেধক) সরবরাহ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ভূক্তভোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যে যশোরের সিভিল সার্জনকে জরূরী ভিত্তিতে জানানো হয়েছে। 

পাগলা কুকুর নিধন সর্ম্পকে জানতে চাইলে মণিরামপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোপাল মল্লিক জানান, আগে কুকুর মেরে ফেলা হতো। এখন কুকুর মারার উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না। যারা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন-তাদের জন্য পৌরসভা কার্যালয়ে  স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এই মূহুর্তে কোন ভ্যাকসিন নেই।

পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান জানান, পৌরসভা থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সংক্রামক প্রতিরোধে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে।


   আরও সংবাদ