ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শেখ মারুফসহ ১৭জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে


প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


শেখ মারুফসহ ১৭জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে

   

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার ভ্রাতৃপ্রতীম বিভিন্ন সংগঠনের যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে।  তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ গুলোর ব্যখ্যা চাওয়া হবে তাদের কাছে। সংঠনটির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী যখন কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসে তখন এই অভিযোগটি তাকে জানানো হয় এবং তার বক্তব্য কি তা শোনা হয়।
এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা এসব মন্তব্য করেন। 

তিনি আরও বলেন,  এটা হলো এক ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ। যেহেতু আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ আছে তাই তাদের ব্যাপারেও এই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কায়সার ও পঙ্কজ দেবনাথ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ মারুফসহ এরকম ১৭জনকে আত্মপক্ষ সমর্থন দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হচ্ছে।


সূত্রমতে আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই সম্মেলনে মধ্য দিয়েই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। মোল্লা আবু কায়সার এবং পঙ্কজ দেবনাথকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই দুই নেতাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু তাদের সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়নি। ওমর ফারুক চৌধুরীকে যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তিনি সদস্য হিসেবে রয়েছেন। শেখ মারুফকে গণভবনে প্রবেশ করতে না দেওয়া হলেও তিনি এখনো যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবেই বহাল রয়েছেন। এক্ষেত্রে গঠনতান্ত্রিক রীতি অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনকি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।


আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, এই কারণ দর্শনো নোটিশের প্রেক্ষিতে তিনি যে জবাব দেবেন সেই জবাবে আওয়ামী লীগে বিচার বিশ্লেষণ হবে আলোচনা হবে এবং যদি দেখা যায় তার জবাব যথার্থ নয় তাহলে তার বিরুদ্ধে গঠনগন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি দেখা যায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি তাহলে তাকে আওয়ামী লীগ বা ওই সংশ্লিষ্ট সংগঠন করার সুযোগ দেওয়া হবে। এটাই গণতান্ত্রিক ও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের রীতি।


আওয়ামী লীগের একজন তো বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক, দু’র্নীতি দ’মন ক’মিশন এদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেবে সেটা প্রচলিত আইনের ব্যবস্থা। প্রচলিত আইনের পাশাপাশি সাংগঠনকিভাবেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে যে, এদের বিরুদ্ধে মোটা দাগে ৪ টি অভিযোগ রয়েছে। কারণ দর্শনোর নোটিশে এই অভিযোগগুলো উত্থাপন করা হবে।


অভিযোগগুলো হচ্ছে, দলের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশকারী জামাত, ফ্রিডম পার্টিসহ বিভিন্ন অগনতান্ত্রিক এবং অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দলে নিয়ে আসা।

দ্বিতীয় অভিযোগ, দু’র্নীতি’র জন্য দলেকে ব্যবহার করা। দলের দু’র্নীতিবা’জদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া।

তৃতীয় অভিযোগ, কমিটি বাণিজ্য।

চতুর্থ অভিযোগ, দলের নীতি আদর্শপরিপন্থী কাজে সমর্থন দেওয়া।

এই অভিযোগগুলোর ব্যাপারে তাদের বক্তব্য কি সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হবে। আওয়ামী লীগের একজন তো বলেছেন, সাধারণত তাদের দুই সপ্তাহের সময় দিতে হবে। এই দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারবেন। প্রয়োজনে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, অভিযুক্তদের লিখিত জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ডাকা হবে। তাদেরকে আনীত অভিযোগ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সর্বশেষ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


   আরও সংবাদ