ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

সাত নিয়মে সহজেই দীঘল সুন্দর চুল


প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


সাত নিয়মে সহজেই দীঘল সুন্দর চুল

   

লাইফস্টাইল ডেস্ক: শ্যাম্পু থেকে তেল মাখা- চুলের যত্নে রয়েছে কতই না নিয়ম। এত নিয়মের ভিড়ে অন্তত সাতটি নিয়ম মেনে সহজেই দীঘল সুন্দর চুলের অধিকারী হওয়া সম্ভব।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানানো হল বিস্তারিত।

চুলে ‘মাইল্ড’ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার-: চুলকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করতে পারে এমন তবে রাসায়নিক উপাদান কম এরকম কার্যকর মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। সোডিয়াম ল্যরাল সালফেটের জন্য ফেনা সৃষ্টি হয়। তবে এই উপাদান কাপড় ধোয়া সাবানেও পাওয়া যায়। এটা চুলে প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। ফলে চুল হয়ে যায় নির্জীব, রুক্ষ ও ভঙ্গুর।

সঠিক উপায়ে চুলের প্রসাধনী ব্যবহার-: মাথার ত্বকের ময়লা ও দূষণ দূর করতে মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। আগা ফাটার সমস্যা ও ক্ষয় পূরণ করতে কন্ডিশনার চুল জুড়ে ব্যবহার করতে হবে, মাথার ত্বকে নয়। চুলকে গভীরভাবে আর্দ্র রাখতে সতেজভাব ফিরিয়ে আনতে ‘হেয়ার মাস্ক’ ব্যবহার করতে হবে।

চুল কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার আর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধোয়া-: কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করা হলে তা মাথার ত্বকের রোমকূপ উন্মুক্ত করতে সহায়তা করে। এটা আর্দ্রতা ও মাথায় ব্যবহৃত প্রসাধনী শোষণ করতে সহায়তা করে। আর পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়া প্রয়োজন কারণ এটা আর্দ্রতা আটকে রেখে রোমকূপ বন্ধ করতে সাহায্য করে।

চুলে তাপ প্রয়োগের আগে সুরক্ষার স্তর তৈরি-: তাপের কারণে চুলে ক্ষতি হয়। এজন্য চুলে তাপীয় যন্ত্র ব্যবহারের সময় ‘হিট প্রোটেক্টর’ বা চুলের সিরাম ব্যবহার করতে হবে। চুলে ব্যবহৃত সরঞ্জামের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। এতে চুলের আগাফাটা ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যা কমবে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, দ্রুত চুল বড় হওয়াতে সাহায্য করে। এজন্য পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি শরীরচর্চা করার অভ্যাস গড়তে হবে।

ঘুমানোর সময় চুলের সুরক্ষা-: সিল্কের বালিশ কভার মসৃন হয়। তাই এই ধরনের কভার দেওয়া বালিশে ঘুমালে চুলের ওপর চাপ কম পড়ে। ফলে চুলের আগাফাটা, ভঙ্গুরতা ও ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা কমে। চুল খুব বেশি শক্ত করে বাঁধা ঠিক নয়। এতে মাথার ত্বকের টান পড়ে। ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।

স্বাস্থ্যকর উপায়ে চুল শুকানো-: চুল শুকানোর জন্য খুব বেশি জোরে না ঘষে মিহি তোয়ালে দিয়ে হালকাভাবে মুছে নিতে হবে। ড্রায়ার ব্যবহার করতে চাইলে মাথার ত্বক থেকে কম পক্ষে ৬ ইঞ্চি দূর থেকে ব্যবহার করতে হবে। ড্রায়ার ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন এক জায়গায় অনেকক্ষণ তাপ প্রয়োগ করা না হয়। এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।


   আরও সংবাদ