ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

অনলাইন ক্যাসিনো যাদুকর দুদকের রিমান্ডে


প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


অনলাইন ক্যাসিনো যাদুকর দুদকের রিমান্ডে

   

নিউজ ডেস্ক: অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস গত বুধবার সেলিম প্রধানকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

রোববার দুপুর ১২ টার দিকে তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সংস্থাটি। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশ ছেড়ে পালানোর সময় ৩০ সেপ্টেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। তাকে নিয়ে তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা হয়।

সেলিম প্রধান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘প্রধান গ্রুপ’-এর কর্ণধার। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেড, পি২৪ ল ফার্ম, এইউ এন্টারটেইনমেন্ট, পি২৪ গেমিং, প্রধান হাউস ও প্রধান ম্যাগাজিন। এর মধ্যে পি২৪ গেমিংয়ের মাধ্যমে তিনি জুয়াড়িদের ক্যাসিনোয় যুক্ত করতেন।

সেলিম প্রধান অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনাকারী এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান। তিনি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সহসভাপতি। এ ছাড়া এর আগে গ্রেফতার হওয়া বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ক্যাশিয়ারও।

সেলিম প্রধানের ব্যাংককের পাতায়ায় বিলাসবহুল হোটেল, ডিসকো বারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শুধু অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনাই নয়, সেলিম প্রধান রাজশাহীসহ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় গবাদিপশুর সব খাটাল ও মাদক সিন্ডিকেটের হোতা। এমনকি সীমান্তে জালটাকার মূল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণও তার হাতে।

প্রশাসনের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে তিনি খাটাল, মাদক ও জালটাকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। সেখান থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা নেন। দুই বছরে তিনি সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছেন।


   আরও সংবাদ