প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী গণমাধ্যমকে জানান, রবিউল হুসাইন দীর্ঘদিন ধরে রক্তের জটিলতায় ভুগছিলেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সোমবার তাকে করনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়।
রবিউল হুসাইনের জন্ম ঝিনাইদহের শৈলকূপায়। ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করা রবিউল ইস্ট পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিতে (বর্তমান বুয়েট) আর্কিটেকচার ফ্যাকাল্টি খোলা হলে তাতে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্থাপত্য বিদ্যায় স্নাতক করেন। একই সময়ে তিনি লেখালেখি চালিয়ে যান।
ভাষা ও সাহিত্যে অনন্য অবদান রাখায় ২০১৮ সালে তাকে একুশে পদক দেয়া হয়।
রবিউল হুসাইন ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি। তিনি আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্য কাজ করে গেছেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন তিনি। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন।