প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে মৃত ওই মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে রেললাইন সংলগ্ন পশ্চিম মাহদুরি চাপা মিয়ার বাগানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। মৃত মাদক ব্যবসায়ী ভান্ডারি রুবেল আইয়ুবপুর এলাকার আবুল কাশেম ভান্ডারির ছেলে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ডিবির ওসি কামরুজ্জামান সিকদার, উপ-পরিদর্শক সায়েদ মিয়া, ওমর ফারুক, সহকারী উপ-পরিদর্শক মাসুদ আলম ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ছোরা ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ডিবির ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের হরিনারায়ণপুর রেললাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬০ পিস ইয়াবাসহ একাধিক মামলার আসামি ও মাদক কারবারি ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ ভান্ডারি রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে অস্ত্র আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩টার দিকে তাকে নিয়ে হরিনারায়ণপুর রেলস্টেশনের পশ্চিম মাহদুরি চাপা মিয়ার বাগানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।
এ সময় ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেলের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। তখন অত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রুবেল নিহত ও পাঁচ পুলিশ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, মৃত রুবেল ভান্ডারির বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ঘটনায় ১৬টি মামলা রয়েছে।