ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বাঁওড় ইজারা পেতে দুইটি পক্ষ সোচ্চার, প্রভাব বিস্তারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক


প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


বাঁওড় ইজারা পেতে দুইটি পক্ষ সোচ্চার, প্রভাব বিস্তারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : ইজারার সময় শেষ হয়ে আসছে বিধায় দেশের বৃহত্তম যশোরের মণিরামপুরের ঝাঁপা বাঁওড়ে প্রভাব বিস্তার নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। যে কোন কিছুর বিনিময়ে একটি পক্ষ বাঁওড় ইজারা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। গতবার ইজারা না পাওয়া ওইপক্ষ বর্তমান বাঁওড় পরিচলানকারিদের ভয়-ভীতি দেয়াসহ প্রতিনিয়ত মারপিটের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এরই জের ধরে সন্ধ্যায় উপজেলার রাজবাড়ি গ্রামের বাঁওড় পাড়ের মিঠুন কুমার বিশ্বাস প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর জখম হয়ে যশোর ২শ’৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মিঠুন ওই গ্রামের চাঁন কুমার বিশ্বাসের ছেলে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকায় বাঁওড় পাড়ের মৎস্যজীবিরা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

মিঠুনের দাদা (বড় ভাই) অরুণ বিশ্বাস জানান, সোনার বাংলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষে বর্তমান বাঁওড় পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিপক্ষ গ্রুপের কাদের ও দিপংকর সমিতির সম্পাদক দুলাল বিশ্বাসের নামে অশ্লিল ভাষায় গালি দেয়ার প্রতিবাদ করে মিঠুন। এ নিয়ে বুধবার সকালে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে এদিন সন্ধ্যায় কাদের, দিপংকর, সাধন, রাজকুমার একা পেয়ে মিঠুনের উপর হামলা করে। এতে গুরুত্বর জখম হলে স্থানীয়রা মিঠুনকে উদ্ধার করে যশোর ২শ’৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। 

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালে এ বাঁওড়ের ইজারা নিয়ে সোনার বাংলা মৎস্যজীবি ও ঝাঁপা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নামে দুইটি সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ দেখা দেয়। যা মারামারি ও থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্ত সাপেক্ষে সোনার বাংলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইজারা পায়। আগামী চৈত্র মাসে ইজারার মেয়াদ শেষ হবে। যে কারনে বাঁওড় ইজারা নিয়ে আবারো দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে যে কোন সময় বড় ধরনের সংষর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।

রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি কোন পক্ষ থেকে তাকে অবহতি করা হয়নি।


   আরও সংবাদ