ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খুলনা শিপইয়ার্ডে পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফটের কিল লেয়িং করলেন নৌবাহিনী প্রধান


প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


খুলনা শিপইয়ার্ডে পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফটের কিল লেয়িং করলেন নৌবাহিনী প্রধান

   

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফটের কিল লেয়িং করলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) খুলনা শিপইয়ার্ডে প্যাট্রোল ক্র্যাফটের কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী। 

এই প্যাট্রোল ক্র্যাফ্টসমূহ ৫১.৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৫০ মিটার প্রস্থের যা ঘন্টায় ২১ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম হবে।

নির্মাণ শেষে এই যুদ্ধজাহাজসমূহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে। নৌবহরে যুক্ত হওয়ার পর এই যুদ্ধজাহাজসমূহ উপকূলীয় এলাকায় টহল প্রদান, চোরাচালান বিরোধী অভিযান, দূর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ পরব উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, পরিবেশ
দূষণ প্রতিরোধসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করবে। 

পাশাপাশি সরকারের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত নীতি “ব্লু ইকোনমি” বাস্তবায়নে সমুদ্রের মূল্যবান সম্পদ আহরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। 

ইয়ার্ডটি ইতোমধ্যেই দেশীয় প্রযুক্তিতে পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফ্ট এবং দুইটি লার্জ প্যাট্রোল ক্র্যাফ্ট নির্মাণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সফলভাবে হস্তান্তর করেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য আরও পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফ্ট এর কিল লেয়িং অনুষ্ঠান আজ সম্পন্ন হয়। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌপ্রধান (ম্যাটেরিয়েল) রিয়ার এডমিরাল এম মঈনুল হক, মোংলা, পোর্টের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক, খুলনা নৌঅঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, খুলনা ও যশোরের উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ এর 
সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড প্রায় ৬২ বছর পূর্বে যাত্রা শুরু করে। তারপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী সিদ্ধান্তে ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

পরবর্তীতে রুগ্ন এই প্রতিষ্ঠানটি নৌবাহিনীর দক্ষ
ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের কুশলতায় বর্তমানে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। গত দিনে, এ ইয়ার্ড যুদ্ধ জাহাজসহ সর্বসাকুল্যে ৭৩১ টি জাহাজ নির্মাণ ও ২ হাজার ৩৩১ টি জাহাজ মেরামতের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছে।


   আরও সংবাদ