ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নানা বর্ণিল আয়োজনে ডেনমার্কে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করা হবে : রাষ্ট্রদূত


প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


নানা বর্ণিল আয়োজনে ডেনমার্কে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করা হবে :  রাষ্ট্রদূত

   

ডেনমার্কে কোপেনহেগেন : ২০২০ সালে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা ‘মুজিববর্ষ’ পালন করা হবে বলে ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত এ ঘোষণা করেন।

আজ কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল বীর সেনানী, শহীদ ও সম্ভ্রমহারা মা-বোনেদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, এই বছরব্যপী নেয়া নানান কর্মসূচী থাকবে যেমন, দূতাবাসের নিজস্ব ভবনে জতির পিতার আবক্ষমূর্তি ও একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী নির্ভর চলচিত্র ও ‍চিত্র প্রদর্শণী, বিশেষ সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জাতীয় দিবসসমূহে সরব উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের সফলতার নিশ্চিত করার জন্য ডেনমার্কে বসবাসরত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী, সরকারী-বেসরকারী ও আন্তর্জতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।  

বিকেলে দূতাবাসে আয়োজিত বিজয় দিবসের এ আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এছাড়া পবিত্র কোরাআন থেকে তেলওয়াত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিকে পুষ্পমাল্য অর্পন এবং দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়। পরে প্রবাসীরা বিজয় দিবসের গুরুত্ব নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তেব্যে বিজয় দিবসকে বাঙ্গালী জতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় নির্দেশনায় লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা একটি জ্ঞান-নির্ভর ও ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে জাতিকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গ বন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতেই একটি মধ্যম আয়েরে দেশে পরিণত হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে যাবে। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রীর নেতেৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে অবদান রাখতে তিনি উদাত্ত আহবান জানান। 

অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থোসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের উপর নির্মিত প্রমাণ্যচিত্র ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে’ প্রদর্শণ করা হয়। সকালে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু করেন। দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশী খাবারের পরিবেশনায় সান্ধ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।


   আরও সংবাদ