ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

আ’লীগের সম্মেলনে বহিষ্কৃত সম্রাটের মুক্তির পোস্টার!


প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


আ’লীগের সম্মেলনে বহিষ্কৃত সম্রাটের মুক্তির পোস্টার!

   

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ক্যাসিনো গডফাদার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মুক্তি চেয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে!

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনস্থলের চারপাশ ‘সম্রাট ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ পোস্টারে ছেয়ে গেছে!

ঢাকার তৃণমূলের সর্বস্তরের যুবসমাজ ও ঢাকার সর্বস্তরের যুবসমাজ নাম দিয়ে পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনস্থলের চারপাশ ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

সম্মেলনস্থল থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানিয়েছেন, বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তার পাশের শিশুপার্কের গেটজুড়ে সম্রাটের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

পাশাপাশি সম্মেলনস্থলের চারপাশের দেয়ালজুড়েও ক্যাসিনো সম্রাটের পোস্টার লাগানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, শিশুপার্কে গেটের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবিরহাটের গেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের গেট, রমনা কালীমন্দিরের গেট, তিন নেতার মাজারের গেটের সামনে মেট্রোরেলের সীমানা দেয়ালে সম্রাটের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি দোয়েল চত্বর, হাইকোর্টের সামনে, জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতেও সম্রাটের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

মূলত যেসব গেট দিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন সেসব গেটেই সম্রাটের পোস্টার লাগানো হয়েছে।

পোস্টারে সম্রাটের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে।

সেখানে লেখা হয়েছে ‘ঢাকার রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী যুবলীগের ইসমাইল চৌধুরীর সম্রাটের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই’।

রাজধানীর অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে সম্রাট দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আবার আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম।

অভিযানের শুরুতে কয়েক দিন কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকলেও পরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

গ্রেফতারের পর বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলাও করা হয়। দুই মামলায় সম্রাটকে রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।


   আরও সংবাদ