ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

কেটেছে শৈত্যপ্রবাহ, বেড়েছে শীতের অনুভূতি


প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


কেটেছে শৈত্যপ্রবাহ, বেড়েছে শীতের অনুভূতি

   

নিউজ ডেস্ক: দেশের উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেছে। সারাদেশে শীতের পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতিও হয়নি।তবে বেড়েছে শীতের অনুভূতি।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় অর্থাৎ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নাগাদ রাত ও দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

এবার পৌষের শুরু থেকেই সূর্যের দেখা তেমন মিলছে না। তাই রোদ মাখা পৌষের দিনপোহানোর ফুসরত এখনো মেলেনি দেশবাসীর। সূর্যকিরণের উজ্জ্বলতা ফিরলে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিতে ঝলমলে হাসি দিতে পারে দিন।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টার হিসেব দিয়ে আবহাওয়া অধিদফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে কম তাপমাত্রা শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে রেকর্ড করা হয়েছে ফরিদপুরে, ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এখানে সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি হওয়ায় শীত তেমন কাঁপাতে পারেনি।

ঢাকার রেকর্ড বলছে, তাপমাত্রা আগের চেয়ে আর এক ডিগ্রি কমে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রার পার্থক্য বাড়ায় শীতের অনুভূতির দিক কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চারদিকে কুয়াশার চাদর মোড়ানো অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও বেড়েছে শীতের অনুভূতি। রংপুর, দিনাজপুর, ডিমলা, রাজারহাটের সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম তাপামাত্রার পার্থক্য কমে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। বাতাস উত্তর-উত্তর/পশ্চিম দিকে বইছে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে।

এই অবস্থায় রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা নাগাদ আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। আর মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়বে।


   আরও সংবাদ