ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ


প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ

   

দেশের উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে শীতের দাপট চলছে। উত্তরের জেলা চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও রাজশাহীতে চলছে মৌসুমের প্রথম শৈত্য প্রবাহ। ওই অঞ্চলে চলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বুধবার রাত থেকে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। হিমেল বাতাসের সঙ্গে যোগ হয়েছে কুয়াশার দাপটও। বৃহস্পতিবার থেকে সারা দিন একবারও সূর্যের দেখা মিলছে না। শীত এবং কুয়াশার কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনভর চারপাশ ঢেকে থাকছে কুয়াশায়। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসছে না।

এদিকে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বিশেষত শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে।

শীতের প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। কুয়াশায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হওয়ায় রাজধানীর বাজারের তরিতরকারি ও শাকসবজিসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাজার আবারো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস আজ বাসসকে জানান।

আগামী ২২ ডিসেম্বর সূর্য দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সূর্য দেখা গেলে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

তিনি আরও জানান, চলতি মাসের শেষ দিকে অর্থাৎ ২৮ও ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা আবারো কমতে থাকবে এবং আগামী মাসের প্রথম দিকে দেশের উপর দিয়ে আরেকটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

তিনি জানান, শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যশোরে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ ছাড়া আজ ঢাকায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়।


   আরও সংবাদ