ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

গণতন্ত্রে বিশ্বাসের কারণেই সিটি নির্বাচনে অংশহগ্রণ করছি: ফখরুল


প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


গণতন্ত্রে বিশ্বাসের কারণেই সিটি নির্বাচনে অংশহগ্রণ করছি: ফখরুল

   

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, সে কারণে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।’

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নবগঠিত আংশিক কমিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কমিটির নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে-নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ইভিএমকে আমরা প্রত্যাখান করেছি। ইভিএমে ভোট হলে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে না। সুতরাং এই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কম। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনের বিষয়ে আমরা যখন ঘোষণা দেই, তখন পরিষ্কারভাবে বলেছি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। আর সেই নির্বাচনে জনগণের যে রায়, সেই রায় প্রতিফলিত হয় না। তারপরও যেহেতু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, সে কারণে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।

ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ছাত্রদল নেতারা শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশের যে গণতন্ত্রহীনতা বিরাজ করছে, এই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে। তারা সংগ্রাম করে বাংলাদেশের ছাত্র এবং জনতার ঐক্য গড়ে তুলবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে।

নতুন বছরে বিএনপির প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন বছরে প্রত্যাশা থাকে। আর নতুন বছরে আমরা মনে করি, এই বছরে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম ও লড়াই করবে এবং অসত্য ও অসুন্দরকে পরাজিত করবে। আর সত্য, সুন্দর ও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ নিয়েছি, বাংলাদেশ যে গণতন্ত্রবিহীন অবস্থায় রয়েছে, সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা শপথ নিয়েছি। আমরা শপথ নিয়েছি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে আমরা সংগ্রাম করবো। ঐক্য গড়ে তোলা হবে। আর সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বেগম জিয়া ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমউদ্দিন আলম, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শিমুল, যুবদলের সাধারণ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দল নেতা লায়ন মোহাম্মদ আনোয়ার, কে রকিবুল ইসলাম রিপন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ