ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আর মুক্তিযোদ্ধারা বীর সন্তান : মোজাম্মেল হক


প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


বঙ্গবন্ধু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আর মুক্তিযোদ্ধারা বীর সন্তান : মোজাম্মেল হক

   

মণিরামপুর যশোর থেকে আব্বাস উদ্দীন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশের মত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে জীবনকে বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের আত্মত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীন বাংলদেশ। 

এ জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং সকল মুক্তিযোদ্ধা জাতির বীর সন্তান। তাঁদের সশ্রস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের ফলশ্রুতিতে আমরা আজ একটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারছি। তাই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন। 

শনিবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে মণিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনা করছে মাত্র ১৯ বছর। অন্যদিকে বিভিন্ন অপশক্তি ও রাজনৈতিক দল দেশ পরিচালনা করেছেন ৩০ বছর। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই ১৯ বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। যা অন্যদের ৩৫ বছরের শাসনামলের তুলনায় অনেকগুন বেশী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে ২৩’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ১৬ হাজার গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ নির্মান করার উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতিটি বাড়ির জন্য ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা।

এ ছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে রাস্তার নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজোড়িত বিভিন্ন স্থানে স্মৃতিসৌধ নির্মান এবং বৈদ্যভূমি সংরক্ষণ করার এবং বঙ্গবন্ধু ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ম্যুরাল নির্মানের উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করেছেন বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানৗীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে যদি আমরা সেই অসম মুক্তিযুদ্ধে বিজয়লাভ করতে না পারতাম তবে রাজাকার, আলবদর, আলশামস এ দেশেটাকে এক নরকের রাজ্যে পরিণত করতো। জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখতে সব কিছুই স্মরনীয় করে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ মণিরামপুরে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খায়রত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এম নজরুল ইসলাম।

এছাড়া অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান, যশোর জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রাজেক আহমেদ, মণিরামপুর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলাউদ্দীন, উপজেলা আ’লীগনেতা জিএম মজিদ, অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম কামরুল, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, মণিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স.ম আলাউদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ। 

এদিকে উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী যেখানে দাড়িয়ে এলাকাবাসির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন মাননীয় মন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা সে স্থান পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করার আশ্বাস দেন।


   আরও সংবাদ