ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নাটোরে মাইকিং করে মাছ লুট


প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


নাটোরে মাইকিং করে মাছ লুট

   

ইসাহাক আলী : নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘি ইউনিয়নের ভুলবাড়িয়া গ্রামে মাইকিং করে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক কৃষকের বাড়িতে আগুন লাগানো ও লুটতরাজের অভিযোগও উঠেছে।

সিংড়া থানা ও ভুক্তভোগী ব্যক্তির সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলা ও নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গোম ভুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান তাঁর বাড়ির পাশের একটি সরকারি জলাশয় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। অথচ গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল সোমবার সকালে মাইকিং করে শতাধিক ব্যক্তি সংগঠিত হন। পরে তাঁরা দলবদ্ধ হয়ে ওই জলাশয়ে চড়াও হয়। তারা জলাশয়ের পাশের বাড়িতে আগুন লাগায় এবং গাছপালা কেটে তুছরুপাত করে এবং জাল নামিয়ে ওই জলাশয় থেকে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে।

এ সময় ফজলুর রহমানের পরিবারের পুরুষরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং নারী ও শিশুরা ভয়ে আর্তনাদ করতে থাকে। পরে তারা প্রথমে ৯৯ নম্বরে ও সিংড়া থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সিংড়া ও আত্রাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।

ফজলুর রহমান সময় জার্নালকে জানান, তিনি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তাঁর বাড়ির পাশের একটি জলাশয় সিংড়া উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। সম্প্রতি গ্রামের জামিল হোসেন , মো.ডিকেন, বাবু মন্ডল ও শামীম হোসেন বাদশা ওই জলাশয়টি গ্রামের মসজিদের অনুকুলে নেওয়ার দাবি করেন। তিনি এ ব্যাপারে আপত্তি জানালে ওই ব্যক্তিরা উপজেলা ভূমি অফিসের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা জোর করে তার জলাশয়ের মাছ মারার উদ্যোগ নেন।

গত ২৬ ডিসেম্বর তারা একবার মাছ মারার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অবশেষে সোমবার সকালে গ্রামের মসজিদে মাছ মারার জন্য মাইকিং করে লোক জড়ো করেন। পরে তারা একজোট হয়ে ওই জলাশয়ের মাছ মারেন এবং বাড়িতে আগুন লাগান ও লুটপাট করেন।

তবে ছাতারদীঘি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন বাদশা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জলাশয়টি সরকারি। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মসজিদের নামে ওই জলাশয় ইজারা নিয়ে মসজিদের খরচ মেটানো হয়। এবার ফজলুর রহমান তা ইজারা নিয়ে এককভাবে ভোগ করতে শুরু করেছেন। তারা এর প্রতিবাদ করলেও মাছ লুট করেননি। ভাংচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগও সত্য নয়।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নুর-এ-আলম সিদ্দিকী সময় জার্নালকে বলেন, পূর্বের একটি মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফজলুর রহমান নামের এক কৃষকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসা হবে।


   আরও সংবাদ