ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশের ৯০ ভাগ মানুষ সরকারের পরিবর্তন চায়: ফখরুল


প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


দেশের ৯০ ভাগ মানুষ সরকারের পরিবর্তন চায়: ফখরুল

   

নিউজ ডেস্ক: জনগণকে বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে কিছু দিন আটকে রাখা যায়, কিন্তু সব সময় আটকে রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, রাস্তার মধ্যে ১০০ জন লোককে জিজ্ঞাস করুন, এর মধ্যে ৯০ জন লোক বলবে যে আমি এই সরকার চাই না। ভুল বলেছি? ওবায়দুল কাদের আসুন, আপনার পুলিশ লীগ বাদ দিয়ে, দেখুন মানুষ কি বলে?’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে রাস্তায় নেমে মানুষের কথা, দেয়ালের ভাষা পড়ার আহ্বান জানান ফখরুল।

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক ছাত্র সমাবেশে এ আহ্বান তিনি।

ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে গোটা দেশের মানুষ আপনাদের (সরকারের) পরিবর্তন চায়। তারা নতুন সরকার দেখতে চায়। তারা জনগণের সরকার দেখতে চায়। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে তেমন সরকার দেখতে চায়।

তিনি বলেন, ‘বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে কিছু দিন আটকে রাখা যায়। কিন্তু সব সময় আটকে রাখা যায় না এবং চিরকাল ধরে রাখা যায় না। তাই সময় থাকতে বুঝতে শিখুন। আর সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।’

খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে বর্তমান ‘রাজনৈতিক সংকট’ অন্য কেউ সমাধান করতে পারবে না, একমাত্র তিনিই এর সমাধান করতে পারবেন বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আজকে অনেকে কথা বলে লম্বা লম্বা কথা বলেন। বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা তো জনগণের সরকার নয়। জনগণ তাদেরকে ভোট দেয়নি।

ভারতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) আইনের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন, ভারত আইন করেছে। যে এই আইন একটা বৈষম্যমূলক আইন, যে আইনের মধ্যে ধর্মীয় বৈষম্য রয়েছে। সেই আইনের জন্য ভারতে আজকে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। কারা প্রথম বের হয়েছে? ছাত্ররা। ভারতের সমস্ত ছাত্ররা এই আইনের বিরুদ্ধে নেমে পড়েছে।

এদিকে ছাত্র সমাবেশে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চেয়ারে বসা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মীর মারধর করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্যে দেন।

এর আগে ছাত্রদলের সাংগঠনিক রিপোর্ট পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।


   আরও সংবাদ