ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

গাজীপুর ট্রাকস্ট্যান্ডে মালিক সমিতির নামে হয়রানি, সত্যতা পেলে ব্যবস্থা


প্রকাশ: ৪ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


গাজীপুর ট্রাকস্ট্যান্ডে মালিক সমিতির নামে হয়রানি, সত্যতা পেলে ব্যবস্থা

   

গাজীপুর থেকে এম রানা : গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি নতুন বাজার এলাকায় ট্রাকস্ট্যান্ডে মালিক সমিতির নামে ট্রাক, পিআকপ-ভ্যান শ্রমিকদের হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজি করে হয়রানি করছে একটি কুচক্র মহল। তারা মালিক সমিতির নামে মাসিক পাঁচ’শ টাকা করে শত শত গাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা আদায় করে হাতিয়ে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবহন শ্রমিকরা (জিএমপি) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ গাজীপুর প্রেসক্লাবে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা গেছে, স্থানীয় রাজাবাড়ির এলাকার মৃত্যু হাজী মকবুল হোসেন (কাঞ্চুমাতাবর) এর ছেলে আয়নাল হক, আবু তাহেরের ছেলে জাহিদ হাসান, মৃত্যু মকবুল হোসেন (উক্কু) মিয়ার ছেলে আবুল মহাজন, পারিজাত পাঁচতলা এলকার আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে রশিদ মিয়া, ভোলা জেলার দুইজন আব্দুর রহমান ও নজরুল ইসলাম, জেলখানা রোডের বিপ্লব মিস্ত্রী, ময়মনসিংহ জেলার তপন মিয়া, চাঁদপুরের সোহাগ এবং বিক্রমপুরের ফারুক হোসেনসহ তারা দীর্ঘদিন ধরে নতুন বাজার এলাকায় বন-বিভাগের জমির উপর অবৈধভাবে ট্রাকস্ট্যান্ড বানিয়ে মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজির মাধ্যমে হয়রানি করে আসছে। তবে মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজির ব্যাপারটা ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন তারা।

সম্প্রতি মালিক সমিতির ব্যানারে একটি স্টিকার তৈরি করে  ট্রাক, পিকআপ-ভ্যান ও মালিক শ্রমিকদের কাছ থেকে তারা বিশ হাজার টাকা গাড়ি প্রতি মাসে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদার টাকা না দিলেই ট্রাক-টার্মিনালে গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণণাশের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, তাদের কথামতে ওই পার্কিংয়ে গাড়ি না রেখে নতুন বাজার ফ্লাইভারের নিচের আশে-পাশে গাড়িপার্কিং করলেও বাধা প্রদান করে। অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ মেট্রো পুলিশের রেকারম্যান শাকিলকে ডেকে এনে গাড়ি আটক করে হয়রানি করে। শালিক তাদের যোগসাজশে রেকার দিয়ে গাড়ি নিয়ে যান। পরে ৫-১০ হাজার টাকা দিলে গাড়ি ছেড়ে দেন।

জানা যায়, এদের মধ্যে আওয়ামী-লীগের অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে কেউ জড়িত না অথচ তারা আওয়ামী-লীগের নাম ভাঙিয়ে এসব করছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম রহমান জানান, শুনেছি সমিতির মতো তারা একটি সংগঠন করেছে তবে চাঁদা নেওযার ব্যাপারটা আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ও সিটি মেয়রের নিদের্শ রয়েছে একটি টাকাও কেউ নিতে পারবে না।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনা সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এমন বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে আসছে।


   আরও সংবাদ