ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ডাল ভাত কর্মসূচি অব্যাহত রাখা যথার্থ হবে না : হাইকোর্ট


প্রকাশ: ৭ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ডাল ভাত কর্মসূচি অব্যাহত রাখা যথার্থ হবে না : হাইকোর্ট

   

স্টাফ রিপোর্টার : পিলখানা হত্যা মামলায় ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এই পূর্ণাঙ্গ রায় (ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর) প্রকাশ করেন বিচারপতি শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ। এতে বলা হয় ডাল ভাত কর্মসূচি অব্যাহত রাখা যথার্থ হবে না, পিলখানা হত্যার রায়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার।

আদালত বলেন, শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসাবে বিজিবি সদস্যদের সম্মান দিনদিন হারিয়ে যায় এমন কোন কর্মসূচি নেওয়া ঠিক হবে না। অফিসার এবং সদস্যদের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ থাকলে তা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।  বিজিবি সদস্যদের পাওনা টিএডিএ বিল যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করতে হবে। ছুটিসহ বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করতে হবে।

পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, পিলখানার ঘটনায় আভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ইউনিটের ব্যার্থতা তদন্ত করে তা জনসস্মুখে প্রকাশ করতে হবে। সিপাহী এবং অফিসারদের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। কেউ দায়িত্ব অবহেলা করলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে অস্ত্রাগারে নিরাপত্তা কঠোর পর্যবেক্ষণের আওতায় আনার কথা বলেন আদালত।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার। উক্ত রায়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ১১ দফা সুপারিশ করেন।

১১ দফা সুপারিশগুলো হলো :

১. ডাল ভাত কর্মসূচি অব্যাহত রাখা যথার্থ হবে না।

২. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিজিবি সদস্যদের সম্মান হারিয়ে যায় এমন কোনো কর্মসূচি নেয়া ঠিক হবে না।

৩. বিজিবির মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজিবি কর্তৃপক্ষকে তা সমাধানে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪. অফিসার ও সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলে তা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

৫. বিজিবি সদস্যদের পাওনা টিএ ডিএ বিল যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করতে হবে।

৬. ছুটিসহ বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করতে হবে।

৭. ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাপারে বিজিবি কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ইউনিটের ব্যর্থতা তদন্ত করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।

৮. সিপাহি ও অফিসারদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

৯. কেউ দায়িত্ব অবহেলা করলে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

১০. এ ধরনের শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার জটিল পরিস্থিতি এড়াতে অফিসার ও সেনাদের মধ্যে অপ্রত্যাশিত ভাষা ও আচরণ পরিহার করতে হবে।

১১. পিলখানার অস্ত্রাগারে নিরাপত্তা কঠোর পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের জটিল পরিস্থিতি এড়ানো যায়।


   আরও সংবাদ