প্রকাশ: ৮ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন
মনিরামপুর যশোর থেকে আব্বাস উদ্দীন : মণিরামপুরে প্রধান শিক্ষকের খারাপ আচরনে হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেয়া লিতুন জিরা ভর্তি না হওয়ার খবরে তোড়পাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে সর্বমহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শাস্তির দাবি উঠেছে মণিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর বিরুদ্ধে।
উপায়ন্তর না পেয়ে শেষ মেষ ভর্তি হতে চাই এ মর্মে প্রত্যয়নপত্র নিতে বাড়িতে গিয়ে লিতুন জিরার বাবা-মায়ের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী।
তবে, কোন কিছুতেই ওই স্কুলে ভর্তি হবে না লিতুন জিরা। লিতুন জিরার বাবা-মায়ের একটাই দাবি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী লিতুন জিরার বাড়িতে গিয়ে লেখাপড়াসহ যাবতীয় ব্যয়ভার ব্যক্তিগতভাবে বহনের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
উপজেলার শেখ পাড়া খানপুর গ্রামে যান ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। এসময় লিতুন জিরাসহ তার বাব-মা প্রধান শিক্ষকের সেই দিনের রুঢ় আচরনের কথা তুলে ধরেন। শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ইউএনও।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, প্রধান শিক্ষকের কৃত কর্মের দায়ভার তাকেই নিতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর উপস্থিত হন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার। তিনিও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
তবে, প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী দাবি করেছেন লিতুন জিরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
কিন্তু লিতুন জিরার বাবা হাবিবুর রহমান জানান, সকাল ১০ টার দিকে প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী তার কাছে গিয়ে লিতুন জিরা ভর্তি হতে চাই মর্মে প্রত্যয়নপত্র নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন। কিন্তু লিতুন জিরা কোনভাবেই সেখানে ভর্তি হতে চাই না। তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর প্রতি প্রধান শিক্ষকের এহেন আচরনে সর্বমহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কোনভাবেই প্রধান শিক্ষকের এমন আচরন মেনে নেয়া যায় না। যশোর জজ কোর্টের এপিপি অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান প্রধান শিক্ষকের যথাযথ শাস্তি দাবি করেছেন।