ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

য‌শো‌রে তিন ডাকাত ও পাঁচ মাদক ব্যবসায়ী আটক


প্রকাশ: ৮ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


য‌শো‌রে তিন ডাকাত ও পাঁচ মাদক ব্যবসায়ী আটক

   

য‌শোর প্র‌তি‌নি‌ধি : যশোর সদর ও চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩ ডাকাত ও ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। এসময় উদ্ধার হয়েছে ৪ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ দুই লাখ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ছোড়া।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার এসব তথ্য জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, যশোর সদর ফাঁড়ির ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মাহমুদুর রহমান লিটন (২৭) ও তার স্ত্রী আরেফিন আক্তার জুঁইকে প্রথমে দেড় হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেন।

সূত্র ধরে শাহাদত হোসেন ওরফে নাটাইকে (৩২) ২০০ পিস ও গোলাপ হোসেনকে (২৫) ৩০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসে মাদকের গডফাদার আরাফাত হোসেনের নাম। এই আরাফাত আড়ালে থেকে বেনাপোলের পারভেজ ও সাতক্ষীরার মনিরুলের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদক সরবারাহ করে। ৮ জানুয়ারি বেলা পৌনে ৩ টার সময় চাঁচড়া মোড়ে রবিউল ইসলামকে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। 

এই রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই মাদকচক্রের সাথে জড়িত শার্শার সাহাবুল ইসলামকে দুই লাখ টাকাসহ আটক করা হয়। সাহাবুলের দোকান থেকে মাদকের টাকা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিকাশে পাঠানো হয়ে থাকে। এঘটনায় কোতয়ালি থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যশোরের ঝিকরগাছা এলাকার ওসমান গণি (৪৩) গত ৭ জানুয়ারি রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে বাইসাইকেল চালিয়ে বকচর থেকে গোয়ালদাহ মাঠ এলাকার জামতলায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৫ সশস্ত্র ডাকাত তাকে আক্রমণ করে। এসময় ডাকাতদল তার কাছে থাকা নগদ ৭৫ হাজার টাকা একটি মোবাইলফোন সেট ও একটি বাইসাইকেল ডাকাতি করে নেয়।

এসময় ভুক্তভোগির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়া এলাকার হাসান (২৩) ও সৌখিন (২১) এবং নাজির শংকরপুরর এলাকার বাচ্চুকে (২০) আটক করা হয়। পুলিশ ডাকাতি হওয়া বাইসাইকেল, ফোন, ডাকাতদের ব্যবহৃত ছোরা ও অটোরিকশা উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায়ও কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রাব্বানি, কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সদর ফাঁড়ির ইনসপেক্টর তুষার কুমার মন্ডল ও চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনসপেক্টর শাহজাহান আহমেদ।


   আরও সংবাদ