ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারীতে থাকবে ইজতেমা ময়দান


প্রকাশ: ৯ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারীতে থাকবে ইজতেমা ময়দান

   

স্টাফ রিপোর্টার : এবারের বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তায় ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ইজতেমা ময়দানকে ২টি সেক্টরে ভাগ করে কার-মোটারসাইকেল-বোট পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি আকাশ থেকে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারী থাকবে।

ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোশাকধারী র্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। দুই পক্ষের দ্বন্দের জেরে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেও সতর্ক থাকবে র্যাব সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ইজতেমাতে ২৭টি দেশের বিদেশি নাগরিকসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লির জমায়েত হবে। আমরা ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারীর কাজ শুরু করেছি। দুই ধাপে ইজতেমার ময়দানে তিন দিন করে আমাদের ডেপ্লয়মেন্ট থাকবে।

গাড়ি-বাইক পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি তুরাগ নদীতে স্পীডবোটের মাধ্যমে বোট পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, আকাশপথে দুইটি হেলিকপ্টারের পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক নজরদারী রাখা হবে।

ময়দানের অভ্যন্তরে পোশাকধারী র্যাব সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকের সদস্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সুইপিং টিম এবং ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যে কোন আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের ফোর্স সার্বক্ষনিক প্রস্তুত থাকবে।

অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বক্ষনিক তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কোথাও ঝুঁকি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, ইজতেমার দুই পক্ষের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক রেখে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে আমরা সতর্ক রয়েছি।

এছাড়া, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে পরিনত হয়েছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি ইজতেমার ময়দানে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, ১০-১২ এবং ১৭-১৯ তারিখ পর্যন্ত দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রাক গোয়েন্দা নজরদারী, ইজতেমার সময় ফুল ডেপ্লয়মেন্ট এবং শেষেও মুসল্লিরা স্থান ত্যাগ পর্যন্ত আমাদের 'কভার্ড এন্ড ওভার্ড' ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

কার-বাইক পেট্রোলিংয়ের পাশাপাশি তুরাগ নদীতে বোট পেট্রোলিং থাকবে। ১০ টি অবজারভেশন পোস্ট থেকে পুরো এলাকায় নজরদারী থাকবে। এছাড়া, ২ টি হেলিকপ্টার এবং প্রথমবারের মতো ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ থেকে র্যাবের নজরদারী থাকবে।

পর্যাপ্ত সাদা পোশাকে র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো ইজতেমা ময়দান সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং এবং রেকর্ডিং করা হবে। ইজতেমার বাইরের সড়কে ৮ টি পোস্ট স্থাপন করে ইজতেমায় আগত মুসল্লি এবং যানবাহন তল্লাশি করা হবে।

মসল্লিদের সুবিধার্থে মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত দুইটি বাস সার্ভিস থাকবে র্যাবের। ইজতেমা মাঠে ২ জন চিকিৎসকসহ চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে। ইজতেমার মাঠে ২০ টি প্রবেশ পথে আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রত্যেককে তল্লাশি করা হবে।


   আরও সংবাদ