ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বিজয়ের পূর্ণতা অসম্ভব-স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আব্দুল মুহিত


প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বিজয়ের পূর্ণতা অসম্ভব-স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আব্দুল মুহিত

   

কোপেনহেগেন ডেনমার্ক থেকে শাকিল শাহরিয়ার : ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র মাটিতে প্রদার্পনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতির দীর্ঘদিনের লালিত স্বাধীনতার স্বপ্ন পূর্ণতা পায়-আজ কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত এ মন্তব্য করেন।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ডেনমার্ক বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়।

ডেনমার্কে বসবাসরত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী, সরকারী-বেসরকারী ও আন্তর্জতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যগন বছরের প্রথম জাতীয় দিবসে অংশ নেওয়ার জন্য আজ বিকালে দূতাবাস মিলনায়তনে জড়ো হন।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধীকার আন্দোলনে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়া পবিত্র কোরান থেকে তেলওয়াত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিকে পুষ্পমাল্য অর্পন এবং দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়। 

দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসীরা কেক কেটে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগননার উদ্বোধন করেন। পরে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। 


প্রবাসী বাংলাদেশী গণ প্রাণবন্ত উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরব্যাপী নানান কর্মসূচী পালন করা হয়।, দূতাবাসের নিজস্ব ভবনে জতির পিতার আবক্ষমূর্তি ও একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী নির্ভর চলচিত্র ও ‍চিত্র প্রদর্শণী, বিশেষ সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জাতীয় দিবসসমূহে সরব উপস্থিত থেকে কার্যক্রমের সফলতার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।  


রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল বীর সেনানী, শহীদ ও সম্ভ্রমহারা মা-বোনেদের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মন্তব্য করেন, বহিবিশ্বের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় সহ যুদ্ধবিধ্ধস্ত দেশ পূর্ননিমার্ণে বঙ্গবন্ধুর সত্ত্বর বাংলাদেশে ফিরে আসার অপরিহার্যতা অপরিসীম ছিলো।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতেই একটি মধ্যম আয়েরে দেশে পরিণত হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে যাবে। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রীর নেতেৃত্বে একটি উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও কল্যাণকর রাষ্ট্রগঠনে সবাইকে অবদান রাখতে তিনি উদাত্ত আহবান জানান। 

সকালে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু করেন। দূতাবাসের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। 


   আরও সংবাদ