প্রকাশ: ১১ জানুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
ঢাবি প্রতিনিধি : দেশের উত্তরতম ও সবচেয়ে শীতগ্রস্থ অঞ্চল পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার শীতার্ত মানুষের প্রায় ২০০ পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ।
শুক্রবার সংগঠনটির মডারেটর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামস মোরসালিন এবং কো মডারেটর ও শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহীনুর আলমের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পিকাপ ভ্যানে করে এই শীতবস্ত্রগুলো বিতরণ করে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিটের কর্মীরা।
বাংলাদেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে আশার আলো ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে আলোকবর্তিতা হিসেবে আবর্তিত হবার অভিপ্রায়েই মূলত এই প্রতিষ্ঠান কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। আর এই উদ্যোগের একটি পদক্ষেপ হিসেবেই উত্তরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
কার্যক্রমটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন সংগঠনটির মডারেটর শেখ সামস মোরসালিন।
তিনি বলেন, আমরা দুইটা উদ্দেশ্যে পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে এসেছি। প্রথমত আমরা চাই যারা প্রান্তিক এবং দুস্থ জনগোষ্ঠী তারাই যাতে উষ্ণতা পায় এবং শীত থেকে কিছুটা হলেও বাঁচতে পারে। দ্বিতীয়ত আমাদের আরেকটি লক্ষ হলো আমাদের যুব সমাজকে শীত বস্ত্র বিতরণের মতো কাজের সম্পৃক্ত করা এবং তারা যাতে তাদের সময়টাকে নষ্ট না করে সমাজ সেবায় আত্ম নিয়োগ করে।
শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য পঞ্চগড় কে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে এই সহযোগী অধ্যাপক বলেন, বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে। এছাড়া এখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক বেশি তাই আমরা পঞ্চগড় কে বেছে নিয়েছি।
সংগঠনটির কো মডারেটর ও শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, আমরা শীত বস্ত্র বিতরণের উদ্দেশ্যে তেতুলিয়ার প্রায় দুই শতাধিক পরিবারকে বেচে নেই এবং আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে নিজ হাতে তাদের কাছে পৌঁছে দেই। এখানে আমাদের আরেকটা উদ্দেশ্য ছিল। সেটা হলো সমাজের প্রান্তিক মানুষদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা এবং একটা সম্যক অভিজ্ঞতা লাভ করা। এর মধ্য দিয়ে তাদের সাথে আমাদের একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, এই কাজে আমরা ওই এলাকাগুলোর বিভিন্ন সংগঠনকে পেয়েছি যারা এই রকম সমাজ উন্নয়নে কাজ করে। আমরা তাদেরকেও উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করি। তাদের সাথে আমাদের এই সম্পৃক্ততা বাংলাদেশ ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভের যে উদ্দেশ্য তা পূরণ করতে সহায়তা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক বলেন, প্রান্তিক এলাকার শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত। যারা অর্থ ও শ্রম দিয়ে আমাদের ইভেন্টে বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা রাখি আগামী বছর সকলের সহযোগিতায় আরো বৃহৎ পরিসরে শীতার্ত পাশে দাঁড়াতে পারব।