ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

স্যানিটারি ন্যাপকিনে ভ্যাট প্রত্যাহার


প্রকাশ: ২ জুলাই, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন


স্যানিটারি ন্যাপকিনে ভ্যাট প্রত্যাহার

   

স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামাল আমদানির ওপর থেকে সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। নতুন এসআরও জারির ফলে স্যানিটারি ন্যাপকিন-প্যাডে নতুন করে কোনো ভ্যাট বসছে না।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর থেকে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিবাদ। কোথাও কোথাও পালিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচিও। নারী স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি পণ্যে ভর্তুকি দিয়ে নামমাত্র মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের দাবি তোলেন প্রতিবাদকারীরা।

রোববার (৩০ জুন) অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ বুধবার জাতীয় বোর্ডের সিনিয়র তথ্য অফিসার সৈয়দ মুমেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর মূল্য সংযোজন কর আরোপের ফলে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ক্ষমতায়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। সে কারণে গত ৩০ জুন এনবিআর একটি দেশীয় স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা উপকরণের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে। এতে দেশে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের দাম কমবে এবং স্বল্প মূল্যে নারীরা এটি ব্যবহার করতে পারবে।

এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ. মু’মেন বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন বা সমজাতীয় কোন পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করা তো দূরের কথা বরং স্যানিটারি ন্যাপকিন উপকরণের উপর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

এ বছর স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামাল আমদানিতে ৪০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল। এর সঙ্গে ছিল আগের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ। দুইদিকেই ভ্যাট আরোপ করার ফলে জরুরি প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ে।

এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, স্যানিটারি ন্যাপকিনের উচ্চমূল্যের কারণে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ নারী ঋতুকালীন সময়ে প্যাড ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে নানারকম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন তারা।


   আরও সংবাদ