ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাবিতে নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত


প্রকাশ: ১২ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


জাবিতে নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

   

জাবি থেকে রাজু : ২০০০ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ এ দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন শুরু করে। ১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে ৪ জানয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান-এই চারটি বিভাগে ভর্তিকত (প্রথমব্যাচে) ১৫০ জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।

তার ধারাবাহিকতায় আজ ১২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মহাসমারোহে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ পালিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ। দিবসটি পালন উপলক্ষে ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। বিজনেস স্টাডিজ অনষদ চত্বরে সকাল দশটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী ভাষণে উপাচার্য সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপাচার্য বলেন,  স্বাধীনতার সমান বয়সী এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় বহুমূখী সাফল্য অর্জনের অধিকারী হয়েছে। দেশ-বিদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ মান সম্পন্ন গবেষণা এবং উচ্চপদে আসীন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বদ্ধি করেছেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগের আহবান জানান।

উদ্বোধনী অনষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতত্বে একটি বর্ণাঢ্যআনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, প্রো- উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মনজরুল হক, বিভিন্ন অনষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টধার, বর্তমান ও প্রাক্তন  ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকতা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

আনন্দ শোভাযাত্রার পর সেলিম আল দীন মক্তমঞ্চে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে সাংকৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ খানের পরিচালনায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাট্যপ্রদর্শনী, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্দোগে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, ‘রইম মাইম একাডেমি’ পরিবেশিত মকভিনয়: হৃদয়ে বাংলাদেশ ও অসাম্পধদায়িক বাংলাদেশ এবং সবশেষে ‘নকশীকাঁথা ব্যান্ডের’ সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 


   আরও সংবাদ