ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে মাঠে নামার আহ্বান মান্নার


প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে মাঠে নামার আহ্বান মান্নার

   

নিউজ ডেস্ক: ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যেখান থেকেই নির্দেশ আসুক, নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট ডাকাতি ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছি।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত ‘অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বব্যাপী ইভিএম প্রত্যাখ্যান এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।

‌মাহমুদুর রহমান মান্না ব‌লেন, ‘২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যে ভোট ডাকাতি হলো, তখন যদি আমরা মাঠে নামতাম তাহলে তারা সাহস পেতো না। আসুন, তখন যেটা পারিনি ২০২০ সালে, সেটা করি। কারণ এটা বিএনপি, গণফোরাম বা অন্য কারও লড়াই নয়, এটা আমাদের ভোটাধিকার রক্ষার ও বাঁচা-মরার লড়াই।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যন্ত্র তো মানুষ তৈরি করেছে। সেটার নিয়ন্ত্রণ তো মানুষের কাছেই। আপনি কোথায় ভোট দিলেন, সেটা তো ভোটাররা জানতে পারবেন না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের বেহায়া নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশনার বলেছেন- ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলে দিনের ভোট নাকি রাতে হবে না। তো আপনি এর আগে কী করেছেন?

তিনি বলেন, ‘যে যন্ত্র ব্যবহার করলে কোথায় ভোট দিলেন জানার সুযোগ নেই, এর চেয়ে ভোট চুরির বড় মাধ্যম আর কী হতে পারে? ইভিএম মানা যাবে না। এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। ৩০ জানুয়ারি ভোট চুরি হলে পরদিন মাঠে নামতে হবে।’

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘ইভিএম আমাদের ভোটাধিকার হরণ করবে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ ভোটারদের কাছে থাকবে না। তারা ক্ষমতা দখল করতে যত ধরনের পদ্ধতি আছে সব ব্যবহার করতে চাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আশঙ্কা- সিটি নির্বাচনের ফল তারা ঠিক করে রেখেছে। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষায়। তবে আমরা মনে করি, এই নতুন বছরের শুরুটা হচ্ছে সরকারের পতনের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।

বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘ইভিএম চাচ্ছে কে? সরকার ও নির্বাচন কমিশন। এর পেছনে কোনো সঠিক উদ্দেশ্য নেই। তারা নির্বাচন সামনে এলেই নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসেন।

‘২০১৪ সালে গোলমাল লাগিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এখন সিটি নির্বাচনে যদি রাত ৩টা বা ৪টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়? ভোট বানচালের জন্যই ইভিএম ব্যবহার করতে চাচ্ছে’ যোগ করেন তিনি।

স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিয়ে যায়, সেখানে ইভিএমে আমাদের ভোট যে চুরি হবে না সেটা কীভাবে বলা যায়?

মূল প্রবন্ধে ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “মূলত বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা। সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের লাগাতার প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ বা তাদের প্রতি সীমাহীন অনাস্থার কারণে মানুষের মৌলিক ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নতুন অনুষঙ্গ ইভিএমকে অনেকেই ‘ভেলকি মেশিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে।”

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান গোলটেবিল আলোচনার সভাপতিত্ব করেন।


   আরও সংবাদ