প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পূজা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর - দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের হলে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে নেয়ার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে অালাপ অালোচনা সাপেক্ষে একটি সম্মান জনক সমাধানে পৌছাবেন বলে অামি মনে করি।
শুক্রবার ( ১৭ জানুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ অাওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদক মন্ডলীর মূলতবি সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর । কারণ তিনি নিজেও ইভিএম পদ্ধতিতে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বগুড়া সদর আসন থেকে। সর্বশেষ ইভিএমে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে বিএনপি'র প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। এর চেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ আর কি হতে পারে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে 'দেশে বিরোধীদের বাক স্বাধীনতা নেই' এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মত কন্ঠ স্বাধীনতা পৃথিবীর কোন দেশে আছে। বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলছেন, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন, যখন যা খুশি তাই বলছেন, তার পরেও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করেনি, মামলা দায়ের করেনি, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কথা বলার বিষয়ে পৃথিবীর কোথাও এত স্বাথীনতা নেই। তাহলে তাদের কণ্ঠরোধ করা হলো কিভাবে? হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ বিষয়ে যে মন্তব্য করেছে তা অযৌক্তিক এবং মন গড়া বক্তব্য।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন এবং তারিখ প্রসঙ্গে ডঃ কামাল হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন।এখানে সরকার কিভাবে অন্যায় করলো । কামাল হোসেনের এ মন্তব্য সঠিক নয় ।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অবিলম্বে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় শৃঙ্খলা কমিটি তাদের চাপ প্রয়োগ করবে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের বিষয়ে।
সম্পাদক মন্ডলীর মূলতবি সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল অালম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিণয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্খ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সস্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।