ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অপরিকল্পিত নগরায়নে অনেক মূল্যবান প্রাকতিক সম্পদ হারিয়ে যাচ্ছে : ভিসি


প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


অপরিকল্পিত নগরায়নে অনেক মূল্যবান প্রাকতিক সম্পদ হারিয়ে যাচ্ছে : ভিসি

   

জাবি থেকে রাজু : জাহাঙ্গীরনগর  বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার হলে বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির আয়োজনে ‘বার্ষিক বোটানিক্যাল সম্মেলন’ অনষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ‘নভেল এ্যাপ্রোচ এ্যান্ড রিসেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইন প্লান্ট সায়েন্স’ এই বিষয়কে সামনে নিয়ে অনুষ্ঠানের দিনব্যাপী সম্মেলনে ছিলো পোস্টার সেশন, প্ল্যানারি সেশন, সায়েন্টিফিক সেশন, বিজনেস সেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশের খাদ্য পুষ্টির চাহিদা পূরণ, দারিদ্র বিমোচন, প্রচলিত ও অল্প প্রচলিত উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাকতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের মূল চালিকা শক্তি উদ্ভিজ্য প্রাকতিক সম্পদ ও এর সফল টেকসই ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। নিত্য নতুন টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের  মাধ্যমে এ প্রাকতিক সম্পদকে জাতির কল্যাণে ব্য বহার করতে হবে। উদ্ভিদরাজি প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদসম টিকে থাকলে জীব জগৎ ও মানষ বেচে থাকবে। অনষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো উদ্ভিদ। এ প্রাকতিক সম্পদের বিস্তার লাভের সাথে আমাদের বেচে থাকার সম্পর্ক নিবিড়। বিশ্বের অস্তিত্ব  রক্ষাসহ সব মানুষের খাদ্য বস্ত্র  বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি মৌলিক চাহিদা মেটাতে আমারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদ জাত দ্রব্যের  উপর নির্ভরশীল। জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে ও অপরিকল্পিত নগরায়নে অনেক মূল্যবান প্রাকতিক সম্পদ হারিয়ে যাচ্ছে কিংবা বিলপ্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের অধিক সচেতন হতে হবে। বিশেষ অতিথি সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেড এন তাহমিদা বেগম বলেন, খাদ্য বস্ত্র আবাসনসহ অনেক বিষয়ে মানষকে উদ্ভিদরাজির শরণাপন্ন হতে হয়। বিশ্বায়নের এসময় পৃথিবীর জনসংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। অন্যদিকে সভ্যতার বাড়তি চাহিদা মিটাতে শিল্পায়ন ও নগরায়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কোন গবেষণা শুরু করবার আগে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তি বিদদের মধ্যে  ফলপ্রসূ সংলাপ শুধুযে কাম্য তাই নয়, তা গবেষণা ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ণয় ও সমস্যা সমাধানের পন্থা উদ্ভাবনেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ অতিথি প্রো- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আমির হোসেন বলেন, এই বিভাগের শিক্ষা ও গবেষণায় গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রয়াস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বিশেষ অতিথি প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বলেন, বৃক্ষ আমাদের আর্থিক, সামাজিক পরিবেশ, খাদ্য   চিকিৎসা, বিনোদন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকার করে থাকে। অনষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সভাপতি অধ্যাপক ড. ফিরোজা হোসেন, বিবিএসের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আবদুল গফুর, সাংগঠনিক সচিব অধ্যাপক ড. এম মাহফুজুর রহমান ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূহু আলম। 


   আরও সংবাদ