ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সিইসি চাইলে পহেলা ফেব্রুয়ারি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব : তাবিথ


প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


সিইসি চাইলে পহেলা ফেব্রুয়ারি নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব : তাবিথ

   

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন দেরিতে হলেও জনগণের পক্ষে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন যদি চায়। তাহলে পহেলা ফেব্রুয়ারি এদেশে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। হিন্দু ধর্মের পূজার সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন। অনেক প্রতিক্রিয়া এবং আন্দোলনের পরেও নির্বাচন কমিশন কোনো কর্ণপাত করেনি। বিশেষ করে এই পূজাটি বিভিন্ন স্কুল কলেজে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এখন উনারা বাধ্য হয়েছেন নির্বাচনের তারিখ পেছাতে। এটাকে সাধুবাদ জানাই। নির্বাচন কমিশন জনগণের দাবির মুখে নির্বাক নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এটা আরো আগেই না উচিত ছিল। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন আবারো তাদের ব্যর্থতা এবং অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। শনিবার রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিদ আউয়াল মন্তব্য করেন। তিনি বলেন নির্বাচন পেছানো আমাদের কোন সমস্যা নেই।আমরা অপেক্ষায় ছিলাম সকলকে নিয়ে সকলের ভোটের অধিকার রক্ষা করেই যেন এই নির্বাচনটা হয়। নির্বাচন পেছানো এখন ভোটাররা সবাই প্রস্তুত থাকবেন ভোট দেওয়ার জন্য। আমি মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয় আমার পক্ষে আসবে। তাবিথ আউয়াল বলেন, আমি জোরালোভাবে বিশ্বাস করি অনেক শ্রেণীর জনগণ কিন্তু ক্ষোভ আছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম অবলম্বী ভাই-বোনেদের উপরে আমরা যে আঘাত হেনেছে তারা বাধ্য হয়েছেন সকল বাংলাদেশীদের কে নিয়ে একটি আন্দোলন একটি ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা কোন ক্ষোভের পক্ষে ইলেকশন করছিনা আমরা দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য নির্বাচন করছি। তিনি তরুণ সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভোটের কারণে তাদের পরীক্ষাটি পিছনেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আর ঢাকাবাসী প্রতি আমার আহ্বান থাকবে নির্বাচন যখনই হোক আমি ক্যান্ডিডেট হিসেবে প্রস্তুত। উনারাও যেন প্রস্তুত থাকেন অবশ্যই নিজের ভোট দিতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে তাবিদ আউয়াল বলেন আমরা বৃহত্তর স্বার্থের জন্য এটা করেছি। এইজন্যে কোন ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক দলের স্বার্থ এখানে সামনে আসতে পারে না। আমরা দেশের স্বার্থের জন্য কথা বলছি আমরা ১৭ কোটি মানুষের স্বার্থ নিয়ে কথা বলছি। এই জন্য ছোটখাটো কোনো সংশোধন যদি আমাদের করতে হয় তা আমরা অবশ্যই মেনে নেব। মূলকথা হলো নির্ভয় একটা ভোটের পরিবেশ আমরা ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা এদেশের মাটিতে।


   আরও সংবাদ